প্রগতি সরণী যেন আবর্জনার ভাগাড়
দুর্ভোগের যেন শেষ নেই, রাজধানীর বাড্ডা এলাকার বাসিন্দাদের। ঘরে কিংবা বাইরে দুর্গন্ধ যেন তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। একই ভোগান্তি প্রগতি সরণী হয়ে চলাচলকারীদের। নতুন বাজার থেকে বাড্ডা লিংক রোড পর্যন্ত যেতে তিন স্থানে চরম দুর্গন্ধ পেরিয়ে যেতে হয়। আর বিষয়টি দেখেও যেন না দেখার ভান করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মেরুল বাড্ডা, হোসেন মার্কেট সংলগ্ন হল্যান্ড সেন্টারের পাশে মূল রাস্তায় ময়লা রাখছে সিটি কর্পোরেশন। ফলে দুর্গন্ধময় হয়ে থাকছে পুরো এলাকা। এলাকাবাসীরও ভোগান্তির যেন শেষ নেই। গন্ধে এই পথ দিয়ে চলাচল করাও কঠিন। যারা পায়ে হেটে কিংবা বাস বা অন্য পরিবহনে চলাচল করছেন সবাইকে চলাচল করতে হচ্ছে এর মধ্য দিয়েই।
এব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা বৃহস্পতিবার দুপুরে জাগো নিউজকে বলেন, রাস্তার উপরে ময়লা ফেলতে চাই না। রাস্তা মানুষের চলাচলের জন্য। কিন্তু ময়লা নেওয়াও আমাদের কাজ। হল্যান্ড সেন্টার ও নতুন বাজার এলাকায় মানুষের ভোগান্তির কথা আমি স্বীকার করি। সরকারের কাছে ৪/৫ বছর ধরে জায়গা চাচ্ছি। কিন্তু কোনো সুরাহা হচ্ছে না। তাই কিছু করার নেই আমাদের।
তিনি আরও বলেন, হল্যান্ড সেন্টারের সামনে থেকে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ টন ময়লা নেওয়া হচ্ছে। আর নতুন বাজার থেকে ৭০ থেকে ৮০ টন। কী করবো আমরা। ময়লা নেওয়া তো আর বন্ধ করা যাবে না। হল্যান্ড সেন্টারের কাছে রাজউকের জমি রয়েছে। আমি জমি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত গিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। জমিটি পেলে আমরা বাড্ডাবাসীকে রক্ষা করতে পারবো।
জানা গেছে, মেরুল বাড্ডা থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে রয়েছে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে বেশ কিছু বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অফিস। কিন্তু দুর্গন্ধের কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তারা ঠিক মতো কাজের ক্ষেত্রেও বসতে পারেন না। বিশেষ করে পথচারী নারী ও শিশুদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
এলাকাবাসীরা জানান, হল্যান্ড সেন্টার ও হোসেন মার্কেট এলাকায় বেশ কয়েকটি বড় বিপণি বিতান রয়েছে। ময়লার দুর্গন্ধের কারণে এসব বিপণি বিতানে গ্রাহকরা যেতেও অনাগ্রহ দেখায়। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
হল্যান্ড সেন্টারের কাছে মূল রাস্তায় যেখানে ময়লা ফেলা হয় তার পেছনেই নির্মাণ করা হচ্ছে গুলশান কর্মাস কলেজের স্থায়ী ভবন। কিন্তু ময়লার কারণে তারাও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।
পথচারি মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এমন দুর্গন্ধে মানুষ চলাচল করতে পারে? পৃথিবীর আর কোথাও এভাবে ময়লা ফেলে কি না আমি জানি না। রাস্তার উপরে এতো ময়লা, সিটি কর্পোরেশন যেন দেখেও দেখে না।
বাড্ডার বাসিন্দা তামান্না রহমান জানান, প্রতিদিন অফিসে যাই। বাসা থেকে বের হলেই দুর্গন্ধ। নিজেদের বাড়ি, তাই কোথাও চলে যেতেও পারছি না। মাঝে মধ্যে দুর্গন্ধ ঘর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
অবিলম্বে মূল রাস্তার উপর থেকে ময়লার স্তুপ সরিয়ে বাড্ডা এলাকাকে দুর্গন্ধমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ এই পথে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।
এসএ/বিএ/আরআই
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ নিউ এইজ সম্পাদককে হয়রানি, ঘটনা তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
- ২ লেখাপড়ায় মনোযোগ দেন, প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় নামবো
- ৩ ৩৭ বছর পর চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে প্রকাশ্যে শিবির
- ৪ ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি এ সপ্তাহে, ক্যাডার-ননক্যাডারে পদ ৩৭০১
- ৫ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ, ওষুধে ব্যয় ২০ শতাংশ