গাবতলীতে শ্রমিকদের তাণ্ডব : তিন মামলার প্রতিবেদন দাখিল ৫ এপ্রিল
রাজধানীর গাবতলীতে পরিবহন শ্রমিকদের তাণ্ডব ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং গাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম এমদাদুল হক এ দিন ধার্য করেন।
বুধবার রাতে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় এসব মামলা হয়। মামলায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে এক হাজারের বেশি শ্রমিককে আসামি করা হয়েছে। দারুস সালাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিমুজ্জামান জানান, ‘ধর্মঘটের নামে মঙ্গল ও বুধবার গাবতলী এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা তাণ্ডব চালিয়েছে। এ ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। দুটি মামলা করেছে পুলিশ। আর একটি মামলা করেছেন একজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি। আসামিদের মধ্যে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক নেতাও রয়েছেন। সব মিলে আসামি এক হাজারের বেশি।’
এর আগে গাবতলীর ঘটনায় শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তাঁর এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর বুধবার রাতে এ তিন মামলা দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরের মৃত্যুর জন্য দায়ী বাসচালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে গত সপ্তাহে মানিকগঞ্জের আদালতে রায়ের পর থেকে চুয়াডাঙ্গায় ধর্মঘট শুরু করেন শ্রমিকরা। এরপর সাভারে এক নারীর ওপর ট্রাক তুলে দিয়ে হত্যার অপরাধে আরেক চালকের মৃত্যুদণ্ডের সাজার পর মঙ্গলবার দেশজুড়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন শ্রমিক-মালিকরা।
পূর্বঘোষণা ছাড়াই যানচলাচল বন্ধ করে দেয়ায় রাজধানীসহ সারা দেশে জনজীবনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। ঢাকার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুরো দেশ। মঙ্গলবার রাতে ধর্মঘট চলার সময় শ্রমিকরা গাবতলীতে ব্যাপক ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। আগুন ধরিয়ে দেন একটি পুলিশ বক্স ও রেকারে। এক পুলিশ সার্জেন্টকে মারধর করে তার মোটরসাইকেলটিও পুড়িয়ে দেন।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাবতলীতে মঙ্গল ও বুধবার পুলিশের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মারা যান এক শ্রমিক। অবশেষে চাপ ও সমালোচনার মুখে বিনা শর্তে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
জেএ/ওআর/জেআইএম