ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা স্বীকার করলেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:৪১ এএম, ০২ জুলাই ২০১৪

চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র ও গণিত দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অবশেষে স্বীকার করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনটি `অসত্য` বলে দাবি করেন তিনি।

এইচএসসির প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে বুধবার সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর এইচএসসিতে ৫৫টি বিষয়ে ১১০টি প্রশ্নপত্র ছাপানো হয়। তার মধ্যে কয়েকটি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠন করা সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি ২৯ জুন তাদের প্রতিবেদন সরকারের হাতে জমা দিয়েছে। এতে ২টি বিষয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে।

মন্ত্রী বলেন, তদন্ত কমিটি দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদসহ সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গে কথা বলেছে। অনেকে তদন্ত কমিটিকে প্রশ্ন ফাঁস হওয়া সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্রকে ধরার জন্য যে উৎসের তথ্য প্রয়োজন তা কেউই দেননি। এমনকি কোনো কোনো বিশিষ্টজন ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের নমুনা তদন্ত কমিটিকে সরবরাহ করেছেন; কিন্তু কোনো উৎস জানাতে তারা দৃঢ়ভাবে অপারগতা জানিয়েছেন। তবে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ফরিদপুরে গণিত দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নপত্রের নমুনাসহ হাতে নাতে আবুল হাসান নামে এক ব্যক্তি আটক হয়েছে। তার বিরুদ্ধে (পাবলিক পরীক্ষাসমূহ অপরাধ আইন-১৯৮০ এর ৪ ধারা) মামলা হয়েছে। তাকে সঠিকভাবে জেরা করা হলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত চক্রকে চিহ্নিত করা সম্ভব হতে পারে বলে কমিটি উল্লেখ করেছে।

নাহিদ দৃঢ়ভাবে বলেন, এমন কোনো শক্তি নেই যা প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িতদের খুঁজে বের করতে প্রয়োগ করা হবে না। তাদের আমরা চিহ্নিত করে কঠোর ও চরমতম শাস্তি দেব। গত সাড়ে ৫ বছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো কিছুই আমরা গোপন করিনি। এটাই মন্ত্রণালয়ের ট্র্যাডিশন।

পাবলিক পরীক্ষা সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেড় মাস-দু`মাস ধরে আর কোনো পাবলিক পরীক্ষা নেয়া হবে না। এতে প্রশ্নের নিরাপত্তা বিধান করা কঠিন হয়ে পড়ে। এখন থেকে দিনে দু`টি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে শিক্ষাবিদদের মতামত নেয়া হবে। কোনো রকম সরকারি ছুটি ছাড়া পরীক্ষার মাঝে আর কোনো বিরতি থাকবে না।