ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে পৌঁছেছে রায়ের কপি

প্রকাশিত: ১১:০৩ এএম, ০৮ এপ্রিল ২০১৫

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাক্ষর করা কপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৌঁছেছে। বুধবার বিকেল পৌঁনে ৫টায় কপিটি রেজিস্টারের কার্যালয় থেকে ট্রাইব্যুনালে পৌঁছায়।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার অরুণ আভো কপিটি গ্রহণ করেন। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের উপ-রেজিস্টার মেহেদী হাসান এটি ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসেন।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চের চার সদস্য দুপুরে রায়ে স্বাক্ষর করেন। বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

একই সঙ্গে রায়ের কপি পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকার জেলা প্রশাসকের কাছে। কপি দেওয়া হবে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীকেও।

রায়ের কপি পাওয়ার পর ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু করবেন কারা কর্তৃপক্ষ। এবার রিভিউয়ের পূর্ণাঙ্গ রায়ই দিলেন আপিল বিভাগ। রিভিউ খারিজের পর বিচারপতিদের সংক্ষিপ্ত আদেশে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছিল অপর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, রায় পৌঁছানোর পর আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন’১৯৭৩ এর ২০(৩) ধারা অনুসারে সরকার কার্যকরের ব্যবস্থা নেবে। সরকারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ফাঁসির দিনক্ষণ ঠিক হবে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী জানান, রায়ের কপি পাওয়ার পর ফাঁসির রায় কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু করবেন কারা কর্তৃপক্ষ। তারা কামারুজ্জামানের কাছে জানতে চাইবেন, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা করবেন কি-না। যদি তিনি প্রাণভিক্ষা না করেন অথবা করলেও তা নামঞ্জুর হয়, তবে সরকারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফাঁসির দিনক্ষণ ঠিক করে দিলে জেল কর্তৃপক্ষ তা কার্যকর করবে বলেও জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেলও।

তবে প্রাণভিক্ষা করা হলে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত না জানা অথবা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসি কার্যকর করা যাবে না বলেও জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।

জেইউ/এসআই/এএইচ/আরআইপি