পদোন্নতি পেলেন প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিবসহ ৩৯ জন
প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির সচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের ৩৯ জন একান্ত সচিবকে (পিএস) পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০ জন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও তিনজন বিভাগীয় কমিশনার পদোন্নতির তালিকায় রয়েছেন।
প্রশাসনে তিন স্তরে ৮৭৩ জনকর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে যুগ্ম-সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে ২৩১ জন, উপ-সচিব থেকে ২৯৯, কর্মকর্তা যুগ্ম-সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপ-সচিব পদে ৩৪৩ জনকে পদোন্নতি দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ নমিতা হালদার পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন। অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার হেলাল উদ্দিন আহমেদ, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন আহমেদ।
এ ছাড়া যুগ্ম-সচিব হয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রীর পিএস মোহাম্মদ আবু তাহের, শিল্পমন্ত্রীর পিএস একেএম শামসুল আরেফীন, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহানখানের পিএস এমএম তারিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচএম এরশাদের পিএস মোহাম্মদ সাঈদ নুর আলম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রীর পিএস এটিএম নাসির মিয়া, সমাজকল্যাণমন্ত্রীর পিএসমাসুদ আহমদ, শিক্ষামন্ত্রীর পিএস নাজমুল হক খান, তথ্যমন্ত্রীর পিএস মো. শহীদুল হক ভূঁঞা এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর পিএস রঞ্জিত কুমার দাস।
সাধারণত উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা মন্ত্রীদের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। জেলা প্রশাসকদের মধ্যে কুড়িগ্রামের ডিসি এবিএম আজাদ, রাজশাহীর ডিসি মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকার ডিসি মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, শরিয়তপুরের ডিসি রামচন্দর দাশ, গাজীপুরের ডিসি মো. নুরুল ইসলাম, মেহেরপুরের ডিসি মো. মাহমুদ হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডিসি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর, বরগুনার ডিসি মীর জহুরুল ইসলাম, শেরপুরের ডিসি মোহাম্মদ জাকির হোসেন, ভোলার ডিসি মো. সেলিম রেজা, খুলনার ডিসি মো. মোস্তফা কামাল, সিলেটের ডিসি মো. শহিদুল ইসলাম, নেত্রকোনার ডিসি তরুণ কান্তি শিকদার, ঝালকাঠির ডিসি মো. শাখাওয়াত হোসেন, চুয়াডাঙ্গার ডিসি মো. দেলোয়ার হোসাইন, নড়াইলের ডিসি এ গফফার খান, নাটোরের ডিসি মো. মশিউর রহমান, পটুয়াখালীর ডিসি অমিতাভ সরকার, গাইবান্ধার ডিসি মো. এহছান ই এলাহী ও ফেনীর ডিসি মো. হুমায়ুন কবীর খন্দকার পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম-সচিব হয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সচিবের একান্ত সচিবরা সাধারণত সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার হয়ে থাকেন। পদোন্নতি পেয়ে উপ-সচিব হয়েছেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিবের পিএস মো. মিজানুর রহমান, ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পিএস এটিএম কামরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার পিএস মো. আব্দুল আওয়াল, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবের পিএস আব্দুল লতিফ মোল্লা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিবের পিএস মো. ইকতাজুল ইসলাম, খাদ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির পিএস মো. আলমগীর হোসেন, বস্ত্র ও পাট সচিবের পিএস আরিফ আহমদ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী, সংস্কৃতি সচিবের পিএস মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের পিএস এমএম আরিফ পাশা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের পিএস খোন্দকার এহতাশামুল কবীর, পরিবেশ ও বন সচিবের পিএস মো. সাইদুর রহমান, দুদক কমিশনারের পিএস কাজী আবু তাহের, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর পিএস বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিবের পিএস আব্দুল আলীম খান, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রীর পিএস মো. ওয়াহেদুর রহমান, যুব ও ক্রীড়া সচিবের পিএস নুমেরী জামান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিবের পিএস রথীন্দ্রনাথ দত্ত, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পিএস মো. আব্দুল মোক্তাদের, মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রীর পিএস এসএম লতিফ, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যানের পিএস মো. মাসুম পাটওয়ারী, বিমান ও পর্যটন সচিবের পিএস শামীম আহম্মেদ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের পিএস মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিবের পিএস মিনা মাসুদ উজ্জামান, নৌপরিবহন সচিবের পিএস মো. সাইফুল ইসলাম, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের পিএস মো. ফিরোজ উদ্দিন খলিফা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের পিএস তানভীর আহমেদ, খাদ্যমন্ত্রীর পিএস মো. হেলাল হোসেন।
বিএ/পিআর