নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে মোবাইল অ্যাপস ‘জয়’

নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধে স্মার্টফোনে ব্যবহারযোগ্য মোবাইল অ্যাপস ‘জয়’ তৈরি করা হয়েছে। এ অ্যাপসের মাধ্যমে ‘১০৯২১’ নম্বরে তাৎক্ষণিকভাবে এসএমএস পাঠিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতনে তথ্য জানানো যাবে।

সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের এমপি দিলারা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বিবিএস পরিচালিত ভায়োলেন্স অ্যাগেইনেস্ট উইমেন সার্ভে ২০১৫ সংসদে তুলে ধরেন। জরিপ অনুযায়ী, শতকরা ৩০ দশমিক ৯ ভাগ কিশোরী জীবনের কোনো না কোনো সময় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। উল্লেখিত সময়ে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শতকরা ৩৪ দশমিক ২ ভাগ কিশোরী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।

তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সেন্টার থেকে টোল ফ্রি হেল্প লাইন ‘১০৯২১’ নম্বরে ফোন করে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু, তাদের পরিবার এবং সংশ্লিষ্ট সবাই প্রয়োজনীয় তথ্য, পরামর্শসহ দেশে বিরাজমান সেবা এবং সহায়তা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

২০১৭ সাল থেকে হেল্পলাইন নম্বরটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তকের কভারে সন্নিবেশ করা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, রংপুর এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) স্থাপন করা হয়েছে। ওসিসি’র মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুকে সমন্বিতভাবে চিকিৎসা সেবা, আইনগত সেবা, কাউন্সেলিং, পুলিশি সহায়তা, আশ্রয় ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের সেবাপ্রাপ্তির সুবিধার্থে দেশের ৪০টি জেলা সদর হাসপাতালে এবং ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল স্থাপন করা হয়েছে। ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টারের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের মনোসামাজিক কাউন্সেলিং প্রদান করা হয়।

এইচএস/আরএস/পিআর