অবিলম্বে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার কাজ শেষ হয়নি বলতে কষ্ট হচ্ছে। এতো দিনেও এ ঘটনার নেপথ্যের নায়ক কারা, কাদের অর্থায়নে বিডিয়ার জওয়ানরা বিপথগামী হয়েছিল তা প্রকাশ করা হয়নি। জাতি এসব জানতে চায়। সরকারের উচিত অবিলম্বে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ৮ বছর আজ। এ উপলক্ষে নিহতদের বনানীর সামরিক কবরস্থানে জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের এ দাবির কথা জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনা প্রধান লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে একটি জঘন্য ও বর্বর ঘটনা। ওই ঘটনায় সেনাবাহিনীর ৫৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত, দু:খ ও শোক প্রকাশ করছি। পাশাপাশি এ ঘটনায় সঠিক তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া শেষে আসল দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির অবজারভেশন ছিল অধিকতরও তদন্ত করা, ঘটনার সাথে নেপথ্যের নায়ক ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করা ও নেপথ্যে কি কারণ ছিল তাও খতিয়ে দেখার কথা বলেছিল। সরকার এর কোনোটিই এখনো করে নি।
বিএনপির এই রাজনীতিক আরও বলেন, আজ জাতি জানতে চায়, নিহতদের স্বজন হিসেবে দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক। নেপথ্যের নায়ক করা, অর্থায়নকারাী কারা ছিল তা প্রকাশ করা হোক।
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে অবশ্যই শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে। কিন্তু বিষয় সেটি নয়, সরকার কেন করছে না? গুরুত্ব বুঝে তো সরকারের এখনই শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত!
এসময় উপস্থিত ছিলেন, লে: কর্নেল রুহুল আমিন, কর্নেল ইসহাক মিয়া, কর্নেল আব্দুল লতিফ, মেজর মিজান, মেজর সারওয়ার, ও শায়রুল কবির প্রমুখ।
জেইউ/এআরএস/এমএস