ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

একজন স্মার্ট ঝালমুড়ি বিক্রেতার গল্প

প্রকাশিত: ০৪:১৩ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমি কেন পিছিয়ে থাকবো? আগে বাসা-বাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ করতাম। এখন নিজেই ঝালমুড়ির দোকান দিয়েছি।’ এটা আমার নিজের প্রতিষ্ঠান।  কোন ব্যবসায় ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। সৎ পথে থেকে এই ব্যবসার মাধ্যমে পরিবার -পরিজন নিয়ে ভালোই আছি। আমি একজন ডিজিটাল-স্মার্ট ঝালমুড়ি বিক্রেতা, এটাই আমার অহংকার’।

রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন ৪৫ বছর বয়সী ঝাঁলমুড়ি বিক্রেতা  জুলহাস হাওলাদার। চোখে চশমা, কানে এয়ারফোন, চকচকে শার্ট, কালো প্যান্টের সঙ্গে ইন করে পরা, গলায় টাই। পায়ে কালো সু। পকেটে রাখা আছে কলম,হাতে থাকা সাদা চেইনের ঘড়িতে একটু পরপর সময় দেখছিলেন তিনি।

পরিপাটি পোশাকে স্মার্ট এ ঝালমুড়ি বিক্রেতা জুলহাসকে ঘিরেই উৎসুক মানুষের ভিড়। কৌতূহল থেকেই কথা হয় ঝালমুড়ি বিক্রেতা জুলহাসের সঙ্গে। নিজের সম্পর্কে জুলহাস জানান, পাঁচ বছর ধরে রাজধানীতে মুড়ি বিক্রি করছি। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। শরীয়তপুরে পৈতৃক নিবাস আমার। আর রাজধানীতে ৭ম শ্রেণিতে পড়া ছেলে এবং ৩য় শ্রেণিতে পড়া মেয়ে আর  স্ত্রীকে নিয়ে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের পেছনে ছোট একটি বাসায় ভাড়া থাকি।

Jhal

নিজেকে পরিপাটিভাবে উপস্থাপন করতে আমার ভালোলাগে জানিয়ে জুলহাস বলেন, কোন কাজই ছোট না। তাই যে কাজই হোক না কেন প্রত্যেকের উচিৎ নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা। আমি মুড়ি বিক্রেতা তাতে কি, আমি নিজের কাছে ভালো থাকতে চাই। আর এ কারণেই আমি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে ভালো পোশাকে থাকার চেষ্টা করি সবসময়।

ফুটপাতে মুড়ি বিক্রি করলেও পাশেই রাখা আছে ময়লার ঝুড়ি। সাধারণ মানুষ মুড়ি খেয়ে কাগজ, ময়লা সেই ঝুড়িতে রাখছেন। সঙ্গে রাখেন সাবান, পানি ও টিস্যু।

ভালো পোশাক পরে চাকরি করার খুব ইচ্ছা ছিল জানিয়ে জুলহাস বলেন, চাকরি না হলেও বর্তমানে ভালোই আছি। এখান থেকেই প্রতিদিন ৫০০/৬০০ টাকা আয় হয়। আমি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বলে ক্রেতারাও আমাকে সম্মান দেয়, ভালোবাসে। সেজন্য আমি নিজেকে ডিজিটাল-স্মার্ট ঝালমুড়ি বিক্রেতা হিসেবে পরিচয় দিতে ভালোবাসি।

এএস/ওআর/এমএস