পোশাক রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা বিস্তৃত হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বে তৈরি পোশাক রফতানিতে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার বিস্তৃত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।ইতোমধ্যে ইইউভুক্তসহ বেশ কিছু দেশ পোশাক রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে।

বুধবার জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রফতানি বাণিজ্যের গুণগত পরির্বতন ও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নিশ্চিত করতে রফতানি নীতি ২০১৫-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। রফতানিবান্ধব নীতি ও সফল বাণিজ্যিক অর্থনীতির কারণে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দিচ্ছে এবং সুবিধা বিস্তৃত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ইইউভুক্ত দেশ কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, চীন ও ভারতসহ প্রভৃতি দেশ তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে।

সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম আখতার জাহানের অপর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি বাড়ি একটি খামার আমার নিজস্ব চিন্তাপ্রসূত একটি দারিদ্র্য বিমোচন মডেল। এটি ক্ষুদ্রঋণের পরিবর্তে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রতিষ্ঠিত করেছে।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুদ্র ও দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষে দারিদ্র্যসীমার নিচে অবশিষ্ট ১ কোটি ৮০ লাখ লোককে সম্পৃক্ত করে ৩ কোটি মানুষের জন্য ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর একনেক সভায় ৮ হাজার ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কার্যক্রম ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য স্থায়ীভাবে দারিদ্র্যমুক্তির মাধ্যমে একটি ক্ষুধামুক্ত মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা।

দেশের একটি লোকও ভিক্ষা করবে না, না খেয়ে থাকবে না। যাতে  স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে সেটিই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।

এইচএস/এএইচ/জেআইএম