/- জাতীয়
বায়ু দূষণকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি
বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা। ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বিশ্বে বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভারত ও বাংলাদেশে। আর এই দূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। এ প্রেক্ষিতে বায়ু দূষণকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনসহ (পবা) বেশ কয়েকটি সংগঠন।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে ‘ধুলা দূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ চাই’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়।
বৈশ্বিক বায়ু পরিস্থিতি ২০১৭ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ২২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। আর বায়ুদূষণের কারণে শিশুমৃত্যু হারের দিক থেকে পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।
এই তথ্য তুলে ধরে পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, ঢাকায় বর্তমানে ধুলা দূষণ প্রকট আকার ধারণ করেছে। স্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ধুলাজনিত রোগব্যাধির প্রকোপ। রাস্তার পাশে দোকানের খাবার ধুলায় বিষাক্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তিনি বলেন, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে রোগজীবানু মিশ্রিত ধুলা ফুসফুসে প্রবেশ করে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও যক্ষ্মাসহ নানা জটিল রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ, যা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
ধুলা দূষণ প্রতিরোধে পরিবেশ আইন অনুসারে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধুলা দূষণ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য করা, ধুলা দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদফতরের মাধ্যমে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ, নিয়মিত রাস্তা পরিষ্কার করা, সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আবর্জনা সংগ্রহ ও পরিবহনের সময় যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন তিনি।
পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সহ-সম্পাদক মো. সেলিম, পবার সদস্য ক্যামেলিয়া চৌধুরী, সুবন্ধন সামাজিক কল্যাণ সংগঠনের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, পল্লীমা গ্রীনের সদস্যসচিব আনিসুল হোসেন তারেক, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা আতিকুর রহমান, স্বচেতন নগরবাসী’র সভাপতি জিএম রোস্তম খান, সাধারণ সম্পাদক মো. আলী, ইয়ুথ সানের সভাপতি মাকিবুল হাসান বাপ্পী, স্থপতি শাহীন আজিজ, আমিনুল ইসলাম টুব্বুস, নগরবাসী সংগঠনের সভাপতি হাজী শেখ আনসার আলী প্রমুখ।
এআর/এমআরএম/জেডএ/এমএস
