ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কক্সবাজার-ঢাকা সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু হবে

প্রকাশিত: ০১:১১ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০১৫

পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সঙ্গে ঢাকার সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়শা খানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ‘দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মায়ানমারের নিকটে গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল মিটারগেজ ট্র্যাক নির্মাণ’ প্রকল্প গত ২০১০ সালের ৬ জুলাইয়ে একনেকে অনুমোদিত হয়। সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে এতদিন প্রকল্পের কাজের তেমন অগ্রগতি সাধিত হয়নি।

রেলপথ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের সময় দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার এবং রামু-গুনদুম পর্যন্ত মিটারগেজের স্থলে ডুয়েলগেজ রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্প চীন সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সে প্রেক্ষিতে এডিবি’র অর্থায়নে চলমান ‘টেকনিক্যাল এসিটেন্স ফর সাব রিজিওনাল রেল ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট প্রিপারেটরী ফ্যাসিলিটি’ শীর্ষক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় মিটারগেজ রেললাইনের পরিবর্তে ডুয়েলগেজ রেললাইনের সংস্থান রেখে ‘আপডেটিং ফিসিবিলিটি স্টাডি, ডিটেইল ডিসাইন এন্ড টেনডারিং সার্ভিস’-এর কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পরিবর্তিত ‘স্কপ’ অনুযায়ী সমীক্ষার কাজ শেষ পর্যায়ে রযেছে।

মন্ত্রী বলেন, আলোচ্য প্রকল্পের ডিপিপি সংশোধনের কাজ চলমান রয়েছে। সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদিত হওয়ার পর প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার পর রাজধানী ঢাকা থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনাও রয়েছে।

রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক আরো বলেছেন, ট্রেনে উন্নত কোচ সংযোজন করে যাত্রী সেবারমান বৃদ্ধি করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়েতে সংযোজনের জন্য ভারত থেকে আমদানিতব্য ১২০টি ব্রড গেজ ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিতব্য ১৫০টি যাত্রীবাহী কোচে যাত্রীদের আরাম আয়েশের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সংস্থান রাখা হয়েছে।

রেলপথ মন্ত্রী বলেন, উন্নত ও আরামদায়ক বসার সিট, অত্যাধুনিক ‘এলএডি’ প্রযুক্তি সম্বলিত আলোকন ব্যবস্থা, মোবাইল চার্জিংয়ের সুবিধাদি, উন্নত মানের অত্যাধুনিক টয়লেট ফিটিংস ইত্যাদি আমদানিতব্য কোচসমূহে বিদ্যমান থাকবে।

তিনি বলেন, এছাড়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ যাত্রীদের আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য সুপরিসর বসার/শয়নের উন্নতমানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। এসি কোচসমূহে রিডিং লাইন এবং টয়লেটে গরম পানি সরবরাহের সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

আরএস