‘সন্তান কার সঙ্গে কি চ্যাট করে মনিটর করুন’
তরুণদের অপরাধে জড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পরিবার পর্যায়ে সচেতনতা দরকার বলে মন্তব্য করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, আপনার সন্তান কোথায় যায়, ইন্টারনেটে কি করছে, কার সঙ্গে চ্যাট করছে সেগুলো মনিটর করুন।
সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ‘অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে তরুণ সমাজের ভূমিকা’ সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ও ডিএমপির যৌথ আয়োজনের এ সংলাপ অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিযোগীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমানে মাদক একটি বড় সমস্যায় রূপ নিয়েছে। পুলিশ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এ সমস্যা একা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। ইতোমধ্যে রাজধানীর মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা ও স্পট নির্ধারণ করে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে এ সমস্যা সমাধানে পরিবার পর্যায়ের সচেতনতা দরকার।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তরুণদের গ্যাং কালচার প্রসঙ্গে কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, যাদের পৃষ্ঠপোষকতায় গ্যাং কালচার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, যারা এসব কিশোরকে আশ্রয় দিচ্ছে এবং তাদের ব্যবহার করছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
পুলিশের চ্যালেঞ্জ ও জনগণের হয়রানির বিষয়ে এক প্রতিযোগীর প্রশ্নের উত্তরে কমিশনার বলেন, ২ কোটির বেশি জনগণকে নিরাপত্তা দিতে পুলিশকে নিয়মিত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। বজ্রপাত, শৈত্যপ্রবাহ, বৃষ্টি সব সময় রাস্তায় কেউ না থাকলেও পুলিশ থাকে। পুলিশের বিরুদ্ধে নানা সময়ে আমাদের কাছে অভিযোগও আসে। তবে জনগণের হয়রানির কারণে বিভিন্ন সময় পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ও প্রতিরোধের বিষয়ে এক শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশের নয়, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। তাদের নিশ্চিহ্ন করতে আরও অনেক সময় লাগবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, যারা টেরোরিস্ট বানাতে চায় তাদের মূল টার্গেট ইয়ুথ। তারা ধর্ম ও ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তরুণদের জঙ্গিবাদের পথে ধাবিত করছে। এ বিষয়ে তরুণদেরও সচেতন হতে হবে।
এআর/এমআরএম/জেআইএম