খাল উদ্ধারে খুশি নন্দীপাড়াবাসী
রাজধানীর নন্দীপাড়া-ত্রিমুহনী (জিরানী) খাল উদ্ধার অভিযান শুরু করায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে তারা। অভিযান শুরুর পর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল করতেও দেখা গেছে এলাকাবাসীকে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা ওয়াসা ও ঢাকা জেলা প্রশাসন যৌথভাবে নন্দীপাড়া-ত্রিমুহনী খাল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এ উপলক্ষে সকাল থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সিটি কর্পোরেশনের লোকজন ও এলাকাবাসী জড়ো হতে থাকে।
মেয়র সাঈদ খোকন উচ্ছেদ অভিযানের পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এলাকাবাসীর সহযোগিতা চান এবং উচ্ছেদ বিষয়ে জানতে চাইলে উপস্থিত জনতা একযোগে খালের ওপর অবৈধ স্থাপনা অপসারণের জন্য মেয়রকে সমর্থন দেন। পরে তারা উচ্ছেদের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন।
দখলমুক্ত চান খোদ দখলকারীরাই। জানতে নন্দীপাড়া ব্রিজের পাশে খালের উপরের এক দোকানদার মুমিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সরকার চাইলে অবশ্যই আমরা খাল ছেড়ে দেবো। উদ্ধার অভিযানের নোটিশ পেয়ে আমি আগেই দোকান গুটিয়ে নিয়েছি। আমরা চাই খাল উদ্ধার হোক। তাহলে পানি প্রবাহ ফিরবে। এলাকায় জলাবদ্ধতা কমবে।
এদিকে খালের ওপর ৭২টি দোকান বরাদ্দ দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। খালটির মালিক ঢাকা ওয়াসা। ওয়াসা জানায়, তার মালিকানাধীন খালে জেলা প্রশাসন দোকান বরাদ্দ দিতে পারে না। এটা অবৈধ। পরে মেয়র সব দোকান ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেন। ঘোষণার পরপরই জেলা প্রশাসনের বরাদ্দ দেয়া ওই সব দোকান থেকেও মালামাল সরিয়ে নিতে থাকেন দোকানদাররা। তারাও দোকান ছেড়ে দিতে সমর্থন দেন।
এদিকে অভিযান চলাকালে বেলা ২টা পর্যন্ত নন্দীপাড়া খালের পশ্চিম পাশের রাস্তা ও খালের ওপর নির্মিত শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় উৎসুক জনতার মুখে হাসি দেখা গেছে। অনেকেই তাদের বাসাবাড়ির ছাদ থেকে উচ্ছেদের সে দৃশ্য দেখতে থাকেন।
খাল উদ্ধার শুরুর আগে দক্ষিণ সিটির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, নন্দীপাড়ার এ খাল উদ্ধারের মাধ্যমে রাজধানীর ঢাকার খাল উদ্ধার অভিযান শুরু হলো। যেখানেই অবৈধ স্থাপনা রয়েছে, সরকার কিংবা জনগণের সম্পত্তির অবৈধ দখল রয়েছে সেখানেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
এমএসএস/এমআরএম/আরআইপি