ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

এক নজরে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত

প্রকাশিত: ০৬:৪৪ এএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

চলে গেলেন সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য, সত্তরের প্রাদেশিক পরিষদের কনিষ্ঠতম সদস্য এবং স্বাধীন দেশের প্রথম সংসদের সদস্য, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (জন্ম ০৫ মে ১৯৪৫ - মৃত্যু ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। রোববার রাত ৪টার দিকে তিনি রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তার জীবনাবসানে ‘বিরাট শূন্যতা তৈরি হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সাতবার সংসদ সদস্য হওয়া এই নেতার সংক্ষিপ্ত জীবনী এক নজরে দেয়া হলো-

জন্ম ও শৈশব
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামে ৫ মে ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

শিক্ষা
প্রবীণ এ পার্লামেন্টারিয়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। পরে ঢাকা সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করে আইন পেশায় নিযুক্ত হন।

রাজনৈতিক জীবন
ছাত্রজীবনের প্রথমেই তিনি বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। হাওরাঞ্চলের ‘জাল যার জলা তার’ আন্দোলনে দীর্ঘদিন তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে সত্তরের নির্বাচনেও তিনি প্রাদেশিক পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত সুরঞ্জিত ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের নির্বাচনে ন্যাপ থেকে জয়ী হয়ে আলোচনার জন্ম দেন। এছাড়া স্বাধীন দেশের প্রথম সাংসদসহ চার দশকের প্রায় সব সংসদেই নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বর্তমান সংসদে তিনি ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি।  

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ
একাত্তরে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন ৫ নম্বর সেক্টরের সাব কমান্ডার হিসেবে।

স্বাধীন দেশের প্রথম সংসদের সদস্য
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ১৯৭৩ সালে স্বাধীন দেশের প্রথম সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন ন্যাপ থেকে।

আওয়ামী লীগে যোগদান
নব্বই দশকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এর আগে তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও একতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রেলমন্ত্রী নিযুক্ত হন। যদিও সহকারীর অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনার পর তিনি পদত্যাগ করেন। তবে প্রধানমন্ত্রী সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে তাকে দফতরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিপরিষদে রাখেন। এর আগে ১৯৯৬ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সংসদে সব সময় সরব এ সংসদ সদস্য একজন অভিজ্ঞ সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন।

সংবিধান সংশোধন কমিটির কো-চেয়ারম্যান
এই প্রবীণ নেতা নবম সংসদে পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধন কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন।

অসুস্থ ও মৃত্যু
২০১৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ফুসফুসের সমস্যার জন্য রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে। এরপর ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে প্রথমে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেয়া হয়। পরে রাতেই তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি রোববার রাত ৪টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

জেডএ/এমএস

আরও পড়ুন