দেশের নদ-নদী রক্ষায় বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ
দেশের নদ-নদী রক্ষায় দীর্ঘ, স্বল্প ও মধ্য মেয়াদী সুপারিসমালা তুলে ধরলেন বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন ও দেশের নদী বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।
সভায় স্বল্প মেয়াদী সুপারিশমালার মধ্যে রয়েছে- নদীনালা ও সমুদ্রের উপর মোবিল, তেল, বর্জ্য পদার্থ ফেলা বন্ধে আইনগত ও সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেয়া। নদী ভিত্তিক গল্প, কবিতা, নাটক পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরা। ৩ মাস পর পর সরেজমিন প্রতিবেদন প্রস্তুত এবং দখলমুক্ত করা। নদী ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় পুনর্গঠন এবং পরিকল্পিতভাবে নদী খনন ও ড্রেজিং করে বালি ও পলি অপসারণ।
মধ্য মেয়াদী সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভরাটকৃত মজা পুকুর পুনঃখনন, নদীবান্ধব অর্থনীতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুকল্পে নদীবন্দরগুলো পুনর্গঠন এবং প্রতিটি ব্রিজে নদী, নালা বা খালের পরিচিতিমূলক নামফলক লাগানো।
দীর্ঘ মেয়াদী সুপারিশমালার মধ্যে রয়েছে- দূষণ থেকে নদী রক্ষায় শিল্পকারখানায় ২৪ ঘণ্টা ইটিপি চালু, নদীভাঙন রোধে হিজল, তমাল, গাব, বটের মতো জলবৃক্ষ লাগানো, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি দূষিত নদীগুলোকে রিসাইক্লিং করা উল্লেখযোগ্য।
সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩০০টি। বর্তমানে তা ৭০০ তে পৌঁছেছে। কিন্তু প্রবাহমান নদীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক। তন্মোধ্যে সুপেয় প্রবাহমান নদ-নদীর চিত্র আরও ভয়াবহ। ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা সমূহের বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার প্রবাহমান নদীর দূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ।
অনুষ্ঠানে জল ও পরিবেশ ইসস্টিটিউটের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ম ইনামুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হাফিজা খাতুন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেন্দ্রীয় জোনের প্রধান প্রকৌশলী মো. ফখরুল ইসলাম, নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. আলাউদ্দিন, পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
এআর/আরএস/পিআর