আসুন দানবদের হত্যা করি : এইচটি ইমাম
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেছেন, দেশে যারা দানবীয় তাণ্ডব লীলা চালিয়ে যাচ্ছে, মানুষকে পুড়িয়ে মারছে, আসুন আমরা তাদের হত্যা করি, তাদের নির্মূলের মধ্য দিয়েই সত্যিকারের স্বাধীনতা আসবে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পতাকা উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। `পতাকায় বিপ্লব, পতাকায় গৌরব` শিরোনামে শুরু হয় এ পতাকা উৎসব।
এইচটি ইমাম বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি স্বাধীনতার পরে দেশে ও দেশের বাইরে ঘাপটি মেরে ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে পক্ষান্তরে দেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করা হয়েছিল। আর সেই শক্তি আজও দেশে সক্রিয়। তারা এখন ভিন্ন আঙ্গিকে। তারা তালেবান, আল কায়েদা, আইএসআই ও বোকো হারামের মতো জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোস্তাক ক্ষমতায় থাকলেও দেশ চালিয়েছে পক্ষান্তরে জিয়াউর রহমান। সুতরাং মোস্তাক নয়, জিয়াই দেশে নিজামী, আলিমদের মতো স্বাধীনতা বিরোধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর এ রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আমলে ২০০১ সালের পর থেকে দেশে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের উত্থান ঘটে। দেশে অসংখ্য নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারও তাদের সৃষ্টি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সময় ইয়াহিয়ার দানবীয় আকৃতিতে ছবি অঙ্কন করে চিত্রশিল্পী কামরুল ইসলাম বলেছিলেন, আসুন দানবদের হত্যা করি। আজ যারা দানবীয় তাণ্ডব লীলা চালাচ্ছে আসুন তাদের হত্যা করি। তাদের নির্মুলেই আসল স্বাধীনতা আসবে।
এইচটি ইমাম বলেন, মা-ব্যাটা মিলে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। কীভাবে দেশটাকে আরও পিছিয়ে রাখা যায় সেই চেষ্টাই করছেন তারা।
বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুরকেও ছাড়িয়ে যেত উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সেরা বাঙ্গালী। তিনি মাহাথির মোহাম্মদ কিংবা ফিদেল ক্যাস্ট্রোর চাইতেও বড় নেতা।
বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রীপরিষদ সচিব এইচটি ইমাম বলেন, অনেকে স্বাধীনতাকালীন সরকারকে মুজিবনগর সরকার বলে। কিন্তু আসলে মুজিবনগর সরকার নয় বলতে হবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। তবে মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার পরেই যেহেতু এই সরকার গঠিত হয়েছিল সে কারণে বিদেশিরা মুজিবনগর সরকার বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, পুলিশ সব সময় জনতার। জনতাকে সাথে নিয়েই পুলিশ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এসেছে।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালের পর থেকে যারা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে অরাজকতা চালাচ্ছে ও নাশকতা সৃষ্টি করছে জনগণকে সাথে নিয়ে পুলিশ তাদের মোকাবেলা করছে ভবিষ্যতেও করতে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উৎসবের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেক্টর কমান্ডার কেএম শফিউল্লাহ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুনুর রশিদ, জবি উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান, মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার প্রদানকারী পুলিশ সুপার মাহবুব উদ্দিন বীরবিক্রম।
জেইউ/বিএ/এমএস