ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বাল্যবিবাহ আইনে ‘তবে’ থাকছেই

প্রকাশিত: ১২:৪৯ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৭

বিভিন্ন মহলের আপত্তি সত্ত্বেও সংসদীয় কমিটিতে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৬, বিলটিতে ‘তবে’ বিধান সংযুক্ত রেখেই পাসের সুপারিশ করা হয়েছে। ‘তবে’ বিধানটি রেখে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের (১৮ বছরের কম) বিয়ের বিধান রাখা হয়েছে।

বুধবার অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ভবনে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিলের রিপোর্ট চূড়ান্ত করে এ সুপারিশ করা হয়।

এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর (রোববার) বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। আজ (বুধবার) কমিটি বিলটি চূড়ান্ত করে।

বিলে বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলেদের বয়স ন্যুনতম ২১ বছর ও মেয়েদের বয়স ১৮ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ‘তবে’ যুক্ত করে বিশেষ বিধানের কথাও বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোনো নারীর সর্বোত্তম স্বার্থে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ ক্রমে, বিবাহ সম্পাদিত হইলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না।’

সংসদে উত্থাপিত বিলের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, ‘সরকার বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জাতীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি সমন্বয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে পারবেন। এই আইনের বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা বাল্যবিবাহ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।’

বিলের ৫ নম্বর ধারায় বাল্যবিবাহ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে আদালতকে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করলে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগের জন্য একই দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে কোনো নারী ও পুরুষ বাল্যবিবাহ করলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আর এ ধরনের বিয়েকে মাতা-পিতাসহ অন্যদের শাস্তি দুই বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। একইভাবে বাল্যবিবাহ নিবন্ধনের জন্য শাস্তি ও কাজীর লাইসেন্স বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে।

কমিটির সভাপতি রেবেকা মমিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, ফজিলাতুন নেসা, আমিনা আহমেদ ও মনোয়ারা বেগম অংশ নেন। এছাড়া মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/আরএস/এমএস

আরও পড়ুন