সাইকেলে ৩৮০ কি.মি. পাড়ি
দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার। কনকনে শীত আর বাতাস। ঘন কুয়াশায় প্রতিদিনই ঢাকা পড়ে গ্রামীণ জনপথ। কোনো কিছুই বাধা হতে পারেনি ওই ৫ জনের। বয়সও বেশি না কেউ কিশোর কেউবা যৌবনে পা রেখেছেন।
বেইজক্যাম্পের পক্ষ থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে ১২ জানুয়ারি ভোর ৫ টায় ঢাকার জিরোপয়েন্ট থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন পাঁচ জন সাইক্লিস্ট। সাইক্লিস্ট শাহজালাল নোমানের নেতৃত্বে জিয়াউল ইসলাম, আদনান হোসেইন, গোলাম রহমান ও মাহাদি হাসান এই যাত্রায় অংশ নেন।
যাত্রার শুরুতে তাদের হাতে ফেস্টিভ্যাল ও বেইজক্যাম্পের পতাকা তুলে দেন বেইজক্যাম্প বাংলাদেশ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন। এসময় বেজক্যাম্পের পরিচালক এস,এম মোবাশবের হুসেইন ও তারিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
১৪ জানুয়ারি উৎসব উদ্বোধনী মুহূর্তে সাইক্লিস্টরা পৌঁছান। এরপর তাদের হাতে সম্মাননা সূচক ক্রেস্ট তুলে দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম গুলাম ফারুক, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কবির আকতার, পটুয়াখালী ১ আসনের সংসদ সদস্য এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। এছাড়া বেইসক্যাম্পের সাইক্লিস্টদের এই কৃতিত্বে উচ্ছ্বাসিত হয়ে বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান সাইক্লিস্টদের উৎসাহ দিতে তাদের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন।
এ বিষয়ে সাইক্লিস্ট শাহজালাল নোমান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা প্রায় ৭ থেকে ৮ বছর একসঙ্গে সাইক্লিং করি। এই ভ্রমণটা আমাদের কাছে অন্য রকম ছিল। আমরা সাধারণত হাইওয়ে দিয়ে না গিয়ে গ্রামীণ জনপথ বেছে নিয়েছিলাম। এ কারণে সব শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ হয়েছে। সবাই আমাদের উৎসাহ দিয়েছেন।
এই টিমে সবচেয়ে কম বয়সি ছিলেন মাহাদি হাসান। নবম শ্রেণির ছাত্র। হাসান জাগো নিউজকে বলেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষনীয় করে তুলতে এবং কার্নিভালের প্রচার-প্রচারণার জন্যে বেইজক্যাম্পের সাইক্লিস্টরা এ কাজ করে থাকি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কুয়াকাটা ও বাংলাদেশের অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম নিয়ে কথা বলি। এই অভিজ্ঞতা আমাকে আরো উৎসাহ দিয়েছে।
এমআরএম/আরআইপি