পানি আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে : টিআইবি
বর্তমানে দেশের নদী, জলাশয় ও জলমহলসমূহ ধ্বংসপ্রায়। এগুলো যদি পুনরুদ্ধার করা না যায় তাহলে বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্যহত হবে। তাই পানি আইন, পরিবেশ আইন এবং কলকারখানার বর্জ্য ব্যবহারে যেসব আইন রয়েছে, সেগুলো যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
রোববার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে টিআইবি এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। এই বছর বিশ্ব পানি দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘টেকসই উন্নয়নে চাই পানি খাতে শুদ্ধাচার’।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যারা বিভিন্নভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জলাশয়-নদনদী দখল করেছে তাদেরকে দখলদারিত্ব থেকে উৎখাত করতে হবে। যারা এর জন্য দায়ী তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে যারা দখলদারিত্ব করেন তারা কিন্তু কেনো না কোনো ভাবে ক্ষমতার সাথে সম্পৃক্ত। রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ক্ষমতার সাথে সম্পৃক্ত থেকে তারা এ দখলদারিত্ব করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এইভাবে তারা হয়তো সাময়িকভাবে লাভবান হচ্ছেন এবং সরকারের একাংশ মনে করছেন এর মাধ্যমে তারা সুবিধা অর্জন করতে পারছেন কিন্তু বাস্তবে যে মানুষের জন-জীবন বির্পযস্ত, বিপন্ন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশ একটি শুষ্ক দেশ এবং সেখানে পানির অভাবে মানুষের জীবন জীবিকা এবং উন্নয়ন ব্যহত হবে সে বিষয় তারা উপলব্ধি করছেন না। এই কারণে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে এবং যারা আইন প্রয়োগের ব্যর্থতার জন্য দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে এই দেশের উন্নয়ন ঝুঁকির মুখে পড়বে এবং এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি সুবিধা বঞ্চিত মানুষ, দারিদ্র এবং নারীদের উপর পড়বে।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবির প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. সহিদ আকতার হোসেন, বাউইন এর পরিচালক সঞ্জিত বিশ্বাস সঞ্জয়, টিআইবির সদস্য তানভীর সিদ্দিকী ও কমিউনিকেশন পরিচালক রিজওয়ানুল আহসান প্রমূখ।
বিএ/আরআইপি