ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

তিন কারণে হত্যা : লাশ গায়েব করতেই ৭ টুকরো

প্রকাশিত: ০৩:৩১ পিএম, ২১ মার্চ ২০১৫

রাজধানীর ফকিরাপুলে গত ১০ মার্চ নির্মমভাবে হত্যা করা হয় সুমী নামের ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে। ঘটনার দশ পর শনিবার সকালে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে সোহেল নামের এক মাদকসেবীকে আটক করে র‌্যাব। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় এ হত্যাকাণ্ডের তিন নেপথ্যের কারণ।

র‌্যাব জানায়, পরকীয়া, মাদক ব্যবসা আর পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করার কারণে খুন হয়েছেন সুমী (২৪)। আর লাশ গুম করতেই ৭ টুকরো এবং মুখমণ্ডল ঝলসে দেওয়া হয়।

সোহেল র‌্যাবকে জানায়, স্বামী নাসিরের অবর্তমানে তার মাদক ব্যবসা দেখাশুনা করে আসছিল সুমী। এছাড়া সুজন নামে এক মাদকসেবীর সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে সুজন জানতে পারে সুমী পুলিশের সোর্স। বিষয়টি জানাজানির পর সুজনসহ অন্য মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীরা নিরাপত্তাহীনতা পড়ে। এছাড়া ব্যবসা নিয়ে অন্যদের সুমীর দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। পরে তারা সুমীকে খুন করার পরিকল্পনা করেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ৯ মার্চ সোমবার রাত ১১টায় মোবারক উল্লাহ ওরফে মন্টি মানে এক মাদক ব্যবসায়ী তার ফকিরাপুলস্থ রোকেয়া আহসান মঞ্জিলে ডেকে পাঠায় সুমীকে।

ওই রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় সাইদুল এবং সুজনসহ আরো কয়েকজন। তারা সবাই মধ্যরাত পর্যন্ত মাদকসেবন করে। একপর্যায়ে মাদকের অর্থ লেনদেন ও পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করা নিয়ে সুমীর সঙ্গে তাদের বাকবিতন্ডা হয়। পরে সবাই মিলে সুমীকে ধর্ষণ করে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে  হত্যা করা হয়।

সোহেল র‌্যাবকে আরও জানায়, খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে লাশের মুখমণ্ডল আগুনে ঝলসে দেয়া হয়। এছাড়া শরীর ৭ টুকরো করে খণ্ডিত অংশগুলো ফেলার সময় যাতে শব্দ না হয় সে জন্য দড়ি বেঁধে কৌশলে নিচে নামিয়ে দেয়া হয়। মস্তক ও হাত-পা বিহীন মূল অংশটি পেচাঁন ছিল একটি বিছানার চাদরে।

এ ব্যাপারে র‌্যাব-৩ এর পরিচালক (সিও) গোলাম সারওয়ার জানান, সুমী এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের স্ত্রী। সুজন নামে এক মাদকসেবীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের সূত্র ধরে শনিবার সকালে ফকিরাপুল বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল ওরফে বাংলা সোহেলকে আটক করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের আসল তথ্য বেরিয়ে আসে। অপর অপরাধীদের ধরতে র্যা ব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তিনি জানান, লাশ গায়েব করতেই ৭ টুকরা করেছিল ঘাতকরা।

উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ মঙ্গলবার রাজধানীর ফকিরাপুল পানির ট্যাংকি সংলগ্ন হোটেল উপবনের পাশে রোকেয়া আহসান মঞ্জিলের ছাদ ও আশেপাশের তিনটি বাড়ির ছাদ থেকে সুমীর ৭ টুকরা লাশ উদ্ধার করা হয়।

জেইউ,এসএ/এএইচ/পিআর