পাশের জনকে সান্ত্বনা দিলেন নূর হোসেন
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার সকাল ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত এই আদেশ দেন।
দাপুটে নূর হোসেন কাঠগড়ায় ছিলেন নিশ্চুপ। রায় শুনেই তার চোখে-মুখে ফুটে ওঠে হতাশা। কিছুই বলছিলেন না। ফাঁসির দণ্ড শুনে তার পাশের এক আসামি কাঁদছিলেন। নূর হোসেন তার পিঠে হাত দিয়ে সান্ত্বনা দেন।
অন্যদিকে এজলাসে হাসিমুখে ঢুকেছিলেন এই মামলার অন্যতম আসামি র্যাব ১১-এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট (চাকরিচ্যুত) কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ। তবে হাসিমুখে ভেতরে ঢুকলেও আদালতের রায়ে তার ফাঁসির আদেশ হয়েছে।
এদিকে এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতদের পরিবার। নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী ও মেয়ে রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি দ্রুত রায় কার্যকর দেখতে চান বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের খান সাহেব ওসমানী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন।
পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। অপর মামলার বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।
দুটি মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এতে দুটি মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ১২৭ জন করে। মামলায় গ্রেফতার রয়েছেন ২৩ জন। আর পলাতক ১২ জন।
এআর/এনএফ/এমএস