এরশাদের ৮৬তম জন্মদিন আজ
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৮৬তম জন্মদিন আজ। ১৯৩০ সালের এই দিনে কুড়িগ্রাম জেলায় তার মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এরশাদ। ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন তিনি। ১৯৬০-৬২ সালে তিনি চট্টগ্রাম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অ্যাডজুট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৬৬ সালে তিনি কোয়েটার স্টাফ কলেজ থেকে স্টাফ কোর্স সম্পন্ন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি শিয়ালকোটে ৫৪ ব্রিগেডের মেজর ছিলেন। ১৯৬৯ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি লাভের পর ১৯৬৯-৭০ সালে ৩ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ড্যান্ট ও ১৯৭১-৭২ সালে ৭ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ড্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৭৩ সালের ১২ ডিসেম্বর কর্নেল ও ১৯৭৫ সালের জুন মাসে সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি পান তিনি। ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট ভারতে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় তিনি মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান। পরবর্তী সময় তিনি সেনাপ্রধান হন। এরপর রাষ্ট্রপতি হয়ে রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৩ সালে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্র্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রর্বতনের উদ্দেশ্যে তিনি ১৯৮৬ সালে সাধারণ নির্বাচন দেন। এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন এবং পরে ৫ বছরের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছেড়ে দেন তিনি।
এরশাদ দেশে উপজেলা পদ্ধতি চালু করেন এবং ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার পর এরশাদ গ্রেফতার হন এবং ছয় বছর কারারুদ্ধ থাকার পর ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি জামিনে মুক্তি পান। ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি কারাগার থেকে অংশগ্রহণ করেন এবং রংপুরের পাঁচটি আসন থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনেও তিনি পাঁচটি আসন থেকে নির্বাচিত হন।
নবম জাতীয় সংসদেও তিনি রাজধানী ঢাকার একটি এবং রংপুরের দুটিসহ মোট তিনটি আসন থেকে নির্বাচিত হন। চলতি দশম জাতীয় সংসদেরও একজন সদস্য তিনি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে জাতীয় পার্টি এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং পল্লীবন্ধু ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এআরএস/এমএস