মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত আইন পরিবর্তন চায় কমিশন
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার বিধান সংবলিত আইনের পরিবর্তন চান মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল ইসলাম।
নতুন আইনে শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের ক্ষমতা চায় মানবাধিকার কমিশন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের অর্থ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক ঘটনা তদন্ত করতে পারি না। আইনে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আইনের একটি ধারায় রয়েছে শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করতে হলে সরকারের অনুমতি লাগবে। এই ধারার কারণে অনেক অভিযোগের তদন্ত করতে পারে না মানবাধিকার কমিশন।’
এজন্য তিনি এসব ধারা পরিবর্তনের কথা বলেন। এছাড়া কমিশনের কোনো বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট করে সেটিকে যেন যথাযথ মর্যাদা দেয়া হয় সে বিষয়েও আইনে থাকা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইতোমধ্যে কমিশনের আইনের বিভিন্ন বিষয় সংশোধনীর প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি আইন মন্ত্রণালয় দেয়া হবে।’
অর্থমন্ত্রীর কাছে কমিশনের জন্য নিজস্ব ভবন ও জমি চাওয়া হয়েছে জানিয়ে রিয়াজুল হক বলেন, ‘কমিশনের নিজস্ব জমি নেই। ভবন নেই। এটি দরকার। এসব নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া আমাদের জনবল খুবই কম। মাত্র ৪৮জন। আমরা ১৪১ জন জনবল চেয়ে আবেদন করেছি। আর বাজেটও কম। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ৬৪১ জন জনবল নিয়ে মানবাধিকার কমিশন গঠন হয়েছে। তাদের বাজেটও বিশাল। এসব বিষয় অর্থমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে।’
জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট এর কারণে ১৬ কোটি মানুষের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না জানিয়ে রিয়াজুল হক বলেন, কমিশনের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। জনবল মাত্র ৪৮ জন। এর মধ্যে ১৬ জন বৃদ্ধিভিত্তিক সহযোগিতা করতে পারেন। আর বাকিরা সাপোর্টিং স্টাফ। এছাড়া লজিস্টিক সাপোর্টও কম।’
বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০১৬ সালটি বিশ্ব মানবাধিকারের জন্যও ভাল যায়নি। সেই প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। যেমনটি ঘটেছে মিয়ানমারের রাখাইনদের নিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘শিশু রাজন এবং রাকিব ঘটনার কিন্তু কঠোর শাস্তি হয়েছে। কিন্তু অনেক ঘটনাই তো ঘটছে কিছু হচ্ছে না। শিশুরা ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছে। মার খাচ্ছে।’
এসব বন্ধে জনসচেতনতা দরকার জানিয়ে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, ‘মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
এমইউএইচ/এআরএস/জেআইএম