ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

‘গণআদালতে তাদের বিচার হবে’

প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০১৭

আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারার জন্য বাংলার জনগণই একদিন বিএনপি নেত্রীর বিচার করবে। গণআদালতে তাদের বিচার হবেই।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ এ জনসভার আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) নির্বাচন করবেন না-এ কথা বলে আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করলেন। তার গুলশান অফিসে এসে বললেন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না ঘটিয়ে ঘরে ফিরবেন না। মানুষ হত্যা শুরু করলেন। হাজারও মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেললেন। এরপর জনগণ প্রতিহত শুরু করলে জনগণের চাপে তিনি অফিস ছেড়ে আদালতে হাজিরা দিয়ে ঘরে ফিরে গেলেন। যে মানুষ হত্যা করে, যু্দ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানায় তাদের মুখে গণতন্ত্র সুরক্ষার কথা কোনো দিন মানায় না। তারা সন্ত্রাসী-জঙ্গি, জঙ্গিদের মদদ দেয়। বাংলার জনগণই একদিন তাদের বিচার করবে। গণআদালতে তাদের বিচার হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২৩১ জনকে পেট্রলবোমা দিয়ে হত্যা করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রায় তিন হাজার মানুষকে আহত করেছিলেন। পুলিশ, বিজিবি, গোয়েন্দা কেউ রেহাই পায়নি। মসজিদে, শত শত দোকানে আগুন দিয়েছে। এটাই ছিল খালেদা জিয়ার আন্দোলন।

তিনি আরও বলেন, এতিমের টাকা চুরি করেন, মামলায় আদালতে হাজিরা না দিয়ে পালিয়ে বেড়ান। তার কাছ থেকে রাজনীতি কিংবা গণতন্ত্র শিখতে হবে না।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সরকার বাস্তবায়ন করে চলেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দেশের মানুষ না খেয়ে থাকবে না। প্রত্যেকের আশ্রয়-চিকিৎসা-শিক্ষা নিশ্চিত হবে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এসব আওয়ামী লীগ সরকার পূরণ করে চলেছে।

পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরপর হত্যা, ক্যুর রাজনীতি শুরু হলো। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে অসাংবিধানিক শাসন কায়েম করে ষড়যন্ত্রকারীরা। যে পাকিস্তানিরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে, দেশের কিছু কুলাঙ্গার তাদের পথ দেখিয়েছিল, সেই যুদ্ধাপরাধীরা অনেকে কারাগারে ছিল, জিয়াউর রহমান তাদের মুক্ত করেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার আমলে ১৯টি ক্যু হয়েছিল। কারফিউ দিয়ে দেশ চালান তিনি। ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। তারা একদিকে হত্যা করে, আর একদিকে আওয়ামী লীগের লোকজনকে ধরে নিয়ে যায়।

পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় গেছে তারা ভোগের রাজনীতি করেছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, তারা ক্ষমতায় গিয়ে অর্থবিত্ত গড়েছে। পঁচাত্তরের পর জাতিকে মাথা উঁচু করে থাকতে দেয়নি ষড়যন্ত্রকারীরা। কারণ তাদের আত্মা ছিল পাকিস্তানের কাছে।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে ২৫-৩০ বছর আগে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হতো। দেশের মানুষ উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াত।

দেশের মানুষ কোনো অন্যায় মেনে নেয়নি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসায়। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে। আজ কেউ ক্ষুধার জ্বালায় আর্তচিৎকার করে না। হতদরিদ্ররা বিনা পয়সায় খাবার পাচ্ছে, ঘর পাচ্ছে। আগামী দিনে প্রত্যেককে ঘর করে দেয়া হবে। মানুষের দোরগোড়ায় আজ চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিয়েছি। সবার শিক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

এইউএ/এএইচ/পিআর

আরও পড়ুন