অভিজিত হত্যা : নর্থ-সাউথ ছাত্রের দেশত্যাগ ঠেকাতে সতর্কতা
অভিজিত হত্যার হুমকিদাতা শফিউর রহমান ফারাবীকে গ্রেফতারের পর এখন প্রধান সন্দেহভাজন রেদওয়ান আজাদ রানাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। রেদওয়ানকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলে শুধু অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড নয়, রাজধানীতে আরও কয়েকটি চাঞ্চল্যকর হত্যা রহস্যের জট খুলবে। ফারাবী ছাড়া এ মামলায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
অভিজিত হত্যা মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি বলছে, খুনিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে অগ্রগতি দৃশ্যমান না হলেও তদন্ত অনেকদূর এগিয়েছে। তদন্তের এ পর্যায়ে তারা প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করতেই বেশি মনোযোগী, যেটা তারা অনেকাংশে করেছেনও।
ডিবির ডিসি (দক্ষিণ) কৃষ্ণপদ রায় বলেন, অভিজিৎ হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন রেদওয়ানকে গ্রেফতারে যা যা করণীয় তার সব কিছু করা হচ্ছে। রেদওয়ানকে গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। রেদওয়ানের ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য ইতিমধ্যে শাহজালালসহ দেশের সব বিমানবন্দরে দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেদওয়ান আজাদ রানা নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ` র সাবেক ছাত্র । গ্রামের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞায় উত্তর জয়লস্করপুরে। ছাত্রাবস্থা থেকেই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে উগ্র মতাদর্শী হিসেবে পরিচিতি পান। নর্থসাউথের কয়েক বন্ধু মিলে নিয়মিত যাতায়াত করতেন আনসারুল্লাহ নেতা জসীমুদ্দিন রাহমানির মোহাম্মদপুরের আস্তানায়। জসীমুদ্দিন গ্রেফতার হওয়ার পর সংগঠনের হাল ধরেন রানা।
পল্লবীতে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার খুনের পর প্রথমে তার নাম প্রকাশ্যে আসে। রানার পরিকল্পনায় রাজীবকে হত্যা করা হয় বলে একাধিক আসামি স্বীকারোক্তি দেন। ওই হত্যাকাণ্ডের পর রানাকে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে আটক করা যায়নি।
এরপর ব্লগার অভিজিত রায় হত্যার পর আবার আলোচনায় সেই রানা। হত্যার পর তাকে গ্রেফতারে গোয়েন্দাদের ঘুম হারাম। রানার দেশত্যাগ ঠেকাতে এবার দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও বিজিবির কাছে তার ছবিসহ যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করেছে অভিজিত হত্যা মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সূত্র: সমকাল
এসএইচএ/এআরএস/এমএস