ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

তরুণীর সাত টুকরো লাশ : এখনও মেলেনি পরিচয়

প্রকাশিত: ০৩:৪৯ পিএম, ১১ মার্চ ২০১৫

রাজধানীর ফকিরাপুলে তরুণীর (২৫) সাত টুকরো লাশ উদ্ধার হওয়ার  ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও মিলেনি লাশের পরিচয়। ফলে নৃশংস এই ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। এছাড়া ফকিরাপুলের মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বর্বর এ হত্যাকাণ্ডের পর লাশ টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

মঙ্গলবার ফকিরাপুলের উপবন হোটেলের পেছনে এলাকা থেকে ৭ টুকরো লাশ উদ্ধার করে মতিঝিল থানা পুলিশ। প্রথমে হাত ও পায়ের কাটা অংশ উদ্ধার করা হয়। এরপর ১৬৭/১ নং বাসার ছাদ ও আশপাশ থেকে আরও ৫ টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত  কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি পুলিশ। তবে বেশ কয়েকজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পুলিশের দাবি, লাশের পরিচয় সনাক্তে নিহতের অভিভাবককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু পরিবারের কারো সন্ধান মিলছে না। এছাড়া  ওই তরুণীকে হত্যা করে লাশ গায়েব করতেই ৭ টুকরা করে ঘাতকরা। লাশটি যেন সনাক্ত করা না যায়, সেজন্য মুখের অংশটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত তরুণীর স্বামীর নাম নাসির। সে মাদক মামলায় এক বছর ধরে জেলে রয়েছে। পুলিশের সূত্র ও একই তথ্য পেয়েছেন। নাসিরের পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করা গেলে অনেক তথ্য মিলবে বলে পুলিশের ধারণা।

অজ্ঞাত ওই তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, অন্য জায়গায় হত্যা করে লাশের টুকরাগুলো ঘটনাস্থলে রাখা হয়েছে, নাকি ঘটনাস্থলে খুন করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে বলা যাবে। তবে হত্যাকান্ডের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে ঘাতকরা তাকে হত্যা করে লাশটি গুম করতে চেয়েছিলো।

মতিঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রলয় কুমার সাহা বলেন, লাশের পরিচয় সনাক্তে কয়েকজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এখনো পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশের পরিচয় নিশ্চিত হলেই জের ধরে হত্যাকারীদের সনাক্ত করা সম্ভব হবে। এছাড়া অজ্ঞাত ওই তরুণীর নাম সুমী বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে। তবে সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মতিঝিল জোনের ভারপ্রাপ্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, হত্যাকারীদের শনাক্ত, হত্যার কারণ নির্ণয়ে এবং হত্যাকাণ্ড জড়িতদের গ্রেফতারে সিআইডি ও গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। আশা করি, দ্রুতই সব জানা যাবে। তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট আলামত সংগ্রহ করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে রোকেয়া আহসান মঞ্জিল ভবনের ছাদে বা ভেতরের কোনো এক কক্ষে তাকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, রোকেয়া আহসান মঞ্জিলের সিঁড়িতে রক্ত দাগ দেখা গেছে। সেগুলো ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করার চিহ্নও পেয়েছেন ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা। তারা ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ ছবি তুলেছেন এবং অন্যান্য আলামত উদ্ধার করেছেন।

ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যার আগে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  তরুণীর ঘনিষ্ঠ কেউ এই হত্যাকাণ্ড জড়িত থাকতে পারে। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা ময়নাতদন্ত শেষে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া যাবে।

জেইউ/এএইচ/পিআর