ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

‘সূর্য ভিলা’ই ছিল নব্য জেএমবির দাফতরিক কার্যালয়

প্রকাশিত: ০১:৫১ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনার পূর্বপাড়ার ‘সূর্যা ভিলা’নামক ভাড়া বাসাটিকে সংগঠনের দাফতরিক কার্যালয়ে হিসেবে ব্যবহার করতো নব্য জেএমবি। সেখানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও মোট ১৯টি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট সফলভাবে তাদের কার্যক্রম শেষ করার পর এসব তথ্য জানান কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

গত শনিবার মধ্যরাত থেকে শুরু করে গতকাল দিনভর রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনার পূর্বপাড়ার নব্য জেএমবি’র আস্তানায় অভিযান চলিায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

মনিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভেতরে বিপুল পরিমাণে কাগজপত্র পাওয়া গেছে। ধারণা হচ্ছে এটাই ছিল নব্য জেএমবির কার্যালয়। যেখান থেকে দাফতরিক কাজ পরিচালনা করা হতো। আস্তানার ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু টাকা পুড়িয়ে ফেলা অবস্থায় পাওয়া যায়। নব্য জেএমবি’র আত্মসমর্পণকারীরা জানিয়েছেন সেখানে ১২ লাখ টাকা ছিল।

তিনি বলেন, গতকাল সফলভাবে অভিযান শেষ হলেও আজকে সকাল থেকে শুরু হয় উদ্ধার কাজ। শেষ হয় সন্ধ্যায়। আজকে ১৭ টি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। গতকালকের দুটি ও আজকের ১৭টি সহ মোট গ্রেনেড ছিল ১৯টি। এরমধ্যে সুইসাইড করা নারীর কোমড়ে ছিল ২টা সুই্সাইডাল ভেস্ট। সেখানেই ছিল ১০টি গ্রেনেড।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ভেতরে বিস্ফোরক ছাড়াও বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় জিনিস পাওয়া গেছে। ২টি ৯এমএম, ২টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত কিশোর জঙ্গি তানভীর কাদেরির ছেলে আফিফ কাদেরি

নিহত কিশোর আজিমপুর জঙ্গি আস্তানায় নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরির ছেলে বলে গতকাল থেকে ধারণা করা হলেও কেউ তা নিশ্চিত করেননি। তবে আজ মনিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নিহত কিশোরই আফিফ কাদেরি। তার বাবার নাম তানভীর কাদেরি। যিনি এর আগে আজিমপুর জঙ্গি আস্তানায় নিহত হন। ভেতরে থাকা তাদের আগের ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে এটা তানভীর কাদেরির ছেলে আফিফ কাদেরি ওরফে আদর।

জঙ্গি সুমনের স্ত্রী-কন্যাকে সুইসাইড স্কোয়াডে ব্যবহার করে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দক্ষিণখান থানা পুলিশ জানায়, বোম ডিসপোজাল ইউনিটের বোমা নিষ্ক্রিয়য়করণের কাজ শেষ। সিআইডিও ক্রাইম সিন সংগ্রহ করেছে। আফিফ কাদেরির মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো বিষয়টি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার মধ্যরাত থেকে দক্ষিণখানের আশকোনার পূর্বপাড়ার ৫০ নং বাসাটি ঘিরে রাখে পুলিশ। এ নিয়ে গতকাল দিনভর ছিল টানটান উত্তেজনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযান শেষ হওয়ার কথা জানানোর পর বিকেল সাড়ে ৫টার পর আলামত সংগ্রহ ও বিপজ্জনক বস্তু সরানোর কাজ স্থগিত করা হয়।

তবে রোববার আবার তা শুরু হবে বলে জানানো হয়। সে অনুযায়ী আজ কাজ শুরু হয়। গতকালকের অভিযানে ২শিশুসহ দুই নারী জঙ্গি আত্মসমর্পণ করলেও জঙ্গি সুমনের স্ত্রী গ্রেনেড ফুটিয়ে সুইসাইড করেন। অন্যদিকে তানভীর কাদেরির ছেলে আফিফ কাদেরি আত্মসমর্পণ না করায় ‘রিপোল-২৪’ অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে নিহত হয় আফিফ।

জেইউ/এআর/এসএইচএস/আরআইপি