ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

উল্লাসের মধ্যে ঢাবিতে ছাত্রলীগকর্মীদের হাতে নারী সাংবাদিক লাঞ্ছিত

প্রকাশিত: ০৫:৪০ পিএম, ০৯ মার্চ ২০১৫

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ইংলিশ বধের উল্লাসের মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক নারী সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে।

সোমবার সন্ধ্যায় টিএসসিতে ছাত্রলীগ কর্মীরা ওই নারীকে জোর করে রং লাগাতে গিয়ে লাঞ্ছিত করে। এসময় তাদের সময় বাধা দিতে গেলে ঐ কর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাসুম বিল্লাহসহ দু’জন।

এই ঘটনায় নিজ সংগঠনের জুনিয়র কর্মীদের ঠেকাতে গিয়ে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দী লাঞ্ছিত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।

ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাসেদ ও সাদ নামে মহসিন হলের দুই ছাত্রলীগকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

আহত মাসুম বিল্লাহ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইট দিয়ে আঘাত করায় মাসুমের মাথায় তিনটি এবং মেহেদির মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

প্রতক্ষদর্শীরা জানান, বিজয় উৎসবের সন্ধ্যা ৭টার দিকে টিএসসিতে চায়ের দোকানের সামনে বেশ কিছু সাংবাদিক আড্ডা দিচ্ছিলেন, যাদের মধ্যে সদ্য মাস্টার্সউত্তীর্ণ এক নারী সাংবাদিকও ছিলেন। আড্ডার এক পর্যায়ে দুইটি ছেলে এসে ওই নারী সাংবাদিকের গায়ে রং ছুঁড়তে যায়। তিনি নিষেধ করলে সে মুহূর্তে তারা ফিরে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর দলবল নিয়ে আবার এসে জোর করে নারী সাংবাদিকের শরীরে রং ছুঁড়ে দেয় তারা।

এ সময় ওই নারী সাংবাদিকের বন্ধু মাসুম বিল্লাহ এগিয়ে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানতে চান। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের কয়েকজন ইট নিয়ে এসে এলোপাতাড়ি ছুঁড়তে থাকে। কয়েক দফা ইট ছোঁড়ার ঘটনার মধ্যে শুরুতেই আহত হন মাসুম ও মেহেদি।

শেষপর্যন্ত শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একে সাইদুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। সে সময় প্রক্টর অফিসের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে দুই ছাত্রলীগকর্মীকে আটক করা হয়।

নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে ঘটনাস্থলে প্রক্টর আমজাদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, “প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা উত্তেজনাবশে সিনিয়রদের মারধর করেছে এবং ইটপাটকেল ছুঁড়েছে। আমরা এই ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব।”

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর মাসুম ও মেহেদিকে বিশ্ববিদ্যায় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাদেরকে দেখতে যান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।

নাজমুল সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের জয়ের কারণে আনন্দ উল্লাসের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা ঘটে গেছে। এই ঘটনায় জড়িতরা ছাত্রলীগের নেতা হোক আর কর্মী হোক তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসআরজে