নাসিক নির্বাচন : বিশেষ নজর থাকছে ১৩৭ কেন্দ্রে
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ১৩৭টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ওই কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখে সেখানে বাড়তি ফোর্স মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যে ২২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য নারায়ণগঞ্জে দায়িত্ব পালন করবেন তার ১০ প্লাটুনই থাকবে সিদ্ধিরগঞ্জে। তারা দুটি স্থানে অবস্থান নিয়ে টহল দেবেন। এছাড়া শহর এলাকায় সাত প্লাটুন ও বন্দর এলাকায় পাঁচ প্লাটুন বিজিবি থাকবে।
নির্বাচনের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে রুদ্ধদার বৈঠক করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন কৌশল নির্ধারণ নিয়েই মূলত এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অন্য এলাকার বাসিন্দাদের নারায়ণগঞ্জে অবস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে সোমবার মধ্যরাত থেকে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে পুরো শহর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা।
রোববারের বৈঠক শেষে আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেলের রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, এবার নারায়ণগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৫৬০০ সদস্য মাঠে থাকবেন। ১৩৭টি কেন্দ্রের তালিকা পেয়েছি একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে। এগুলোকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হবে।
মঙ্গলবার র্যাবের ২৭টি মোবাইল টিম মাঠে নামবে। প্রতিটি দলে থাকবেন ১২ জন করে সদস্য। প্রতিটি ওয়ার্ডে পুলিশের তিনটি করে মোট ৮১টি টিমও টহলে থাকবে। প্রতিটি টিমের সদস্য সংখ্যা হবে ১২ জন।
নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৈঠকে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। ভোটের সময় শিল্প পুলিশের ২০০ সদস্য জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগ দেবেন বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওইদিন সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখানে ২৭টি ওয়ার্ডে ১৭৪টি কেন্দ্র রয়েছে। ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩০৪টি। মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৫৬ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন প্রার্থী ভোটে অংশ নিচ্ছেন।
এইচএস/এনএফ/পিআর