প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
জাগো নিউজে প্রকাশিত ‘ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ : সন্দেহের তীর ইউসিসির দিকে’ শিরোনামে সংবাদটির প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউসিসি গ্রুপ। রোববার ইউসিসি গ্রুপের মনিটরিং অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
গত ৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) প্রকাশিত ওই সংবাদের প্রতিবাদলিপিতে ইউসিসি দাবি করেছে, ‘ইউসিসি জোর গলায় বলতে চায় ইউসিসি কখনো কোনো প্রশ্নফাঁস কিংবা ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত নয়। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে ইউসিসির যাত্রাবাড়ী শাখার ম্যানেজার অরুণ কুমার দাসকে। বাস্তবে উক্ত ব্রাঞ্চের ম্যানেজার সদানন্দ বাবু। অরুণ কুমার উক্ত শাখার একজন কর্মচারী মাত্র। এরূপ শতাধিক কর্মচারী ইউসিসির দেশব্যাপী ১০৯টি শাখায় কর্মরত, যাদের প্রত্যেকের নাম ইউসিসি পরিচালক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর পক্ষে মনে রাখা সম্ভব নয়।’
প্রতিবাদ বার্তায় আরও বলা হয়, ‘যেহেতু ইউসিসি কোচিংয়ে কোনো শিক্ষকের স্থায়ীভাবে নিয়োগ লাভের সুযোগ নেই, সেহেতু উক্ত শিক্ষকবৃন্দের ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের প্রতি ইউসিসি গ্রুপ দায়বদ্ধ নয়।’
প্রতিবেদকের বক্তব্য :
বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের লক্ষ্যে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে সব ধরনের শর্তপূরণ করে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি তৈরির সময় ইউসিসির পরিচালক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ইউসিসির যাত্রাবাড়ী ব্রাঞ্চের ম্যানেজার অরুণ কুমার দাস এবং বগুড়া ব্রাঞ্চের জীববিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক অর্ণব চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে-এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?
জবাবে তিনি বলেন, অরুণ কুমারের সঙ্গে তার (কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী) কথা হয়েছে, অরুণ কুমার তার কাছে দাবি করেছে সে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত নয়।
এ সময় তিনি একবারের জন্যও অস্বীকার করেননি যে, অরুণ কুমার দাস যাত্রাবাড়ী ব্রাঞ্চের ম্যানেজার নয়। এমনকি সদানন্দ দাস উক্ত ব্রাঞ্চের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া ইউসিসির প্রচারপত্রসহ সব জায়গায় ব্রাঞ্চের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অরুণ কুমার দাসের ফোন নম্বর দেয়া আছে।
এমএইচ/আরএস/পিআর