ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আদালতে যাচ্ছেন না খালেদা

প্রকাশিত: ০৫:০৭ এএম, ০৪ মার্চ ২০১৫

জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে বখশীবাজারে অবস্থিত ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত বিশেষ আদালতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন জাগোনিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, `আমরা ম্যাডামের নিরাপত্তা চেয়েছিলাম। সরকার যদি নিরাপত্তা দিতো তবে ম্যাডাম অবশ্যই আদালতে যেতেন। কিন্তু সরকার নিরাপত্তার বদলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ম্যাডামের কার্যালয় ঘিরে রেখেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে খাবার প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে তিনি কীভাবে আদালতে যাবেন বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি।`

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদনের শুনানি বুধবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার পক্ষে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারে আবেদন করা হলে বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার শুনানির এ দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় শুনানিতে দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
 
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার প্রাক্তন সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসাীয় শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। গত বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে মামলা দুটিতে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ-৩ এর বিচারক বাসুদেব রায়।

এমএম/বিএ/এমএস