কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ড ইচ্ছাকৃত নয় : ফায়ার ডিজি
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত ইচ্ছাকৃত নয়। ইচ্ছাকৃত কিংবা শত্রুতাবসত আগুন লাগানোর কোনো আলামত পায়নি ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রি. জে. আলী আহমদ খান জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ‘প্রাথমিক তদন্তে এ ধরনের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।’
রোববার রাজধানীর বউবাজার সংলগ্ন কড়াইল বস্তির একাংশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট, আরবান ভলান্টিয়ার এবং স্থানীয়দের সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ওই ঘটনায় প্রায় সাড়ে ৪শ’ ঘর পুড়ে গেছে।
কড়াইল বস্তির মূল মালিক বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। ২০১২ সালে কড়াইল বস্তির জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। এ সময় প্রায় চার শতাধিক ঘর উচ্ছেদ করা হয়। তবে উচ্ছেদের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন বস্তিবাসী। তাদের প্রতিবাদে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করা হয়। তবে দীর্ঘদিন ধরে তাদের তুলে দেয়ার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ বস্তিবাসীর।
সোমবার সরেজমিন বস্তিতে গেলে বস্তিবাসীর অনেক বাসিন্দা তাদের উচ্ছেদ করতে ইচ্ছকৃতভাবে আগুন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তবে এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ পায়নি ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার ডিজি জাগো নিউজকে বলেন, লেপ-তোষকের দোকানের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া বস্তিতে ঘনবসতি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পরে। প্রাথমিকভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানোর কোনো আলামত আমরা পাইনি।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত এমন হলে (ইচ্ছাকৃত) বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন পয়েন্টে একসঙ্গে আগুন লাগানো হয়। তবে এই আগুনের সূত্রপাত এক জায়গা থেকে হয়েছে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস। তদন্তের পর আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান ডিজি।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ২টা ৪৯ মিনিটে কড়াইল বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে চলতি বছরের গত ১৪ মার্চ ঢাকার এ বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সে সময় অর্ধশত ঘর পুড়ে যায়।
এআর/আরএস/আরআইপি