ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

দেশের ৩৬ ভাগ মানুষ কানে কম শোনে

প্রকাশিত: ০৩:৪৯ এএম, ০৩ মার্চ ২০১৫

উচ্চ ভলিউমে গান শোনা, নিয়মিত মোবাইলের হেডফোন ব্যবহার করে কথা বলা, কানে আঘাত, গাড়ির হর্ন, মাইক বাজানোসহ, মিছিল মিটিংয়ের নামে মাইক্রোফোনের যথেচ্ছ ব্যবহারসহ বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট শব্দ দূষণে বাংলাদেশে ৩৬ শতাংশ মানুষ কানে কমে শোনে।

এছাড়া শতকরা নয়ভাগ মানুষ বধিরতায় ভুগছে। এর মধ্যে বৃদ্ধ এবং শিশুদের আক্রান্তের হার আশংকাজনক। ঢাকা মেডিকেল কলেজের নাক কান গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এএফ মহিউদ্দিন খানের মতে, বর্তমান প্রজন্ম যদি সব ক্ষেত্রে উচ্চশব্দ ব্যবহার থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ না করে, তাহলে পরবর্তীতে যাবতীয় শব্দ শোনা থেকে বঞ্চিত হবে। এক্ষেত্রে সবাইকে সচেতনা হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশু জন্মের পূর্বে মার্তৃগভে থাকা অবস্থায় মায়ের রুবেলাসহ বিভিন্ন ইনফেকশন, মায়ের অপুষ্টিতে ভোগা এবং নিকট আত্মীয়ের মধ্যে বিবাহজনীত কারণে শিশু বধিরতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। একই সঙ্গে মানুষের মধ্যে হঠাৎ করে মোবাইল এবং হেডফোনে কথা বলার প্রবণতা বাড়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে বধিরতার সংখ্যা। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পরলে অল্প সময়ে দেশের বেশিরভাগ মানুষ বধির হয়ে যেতে পারে। তবে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে পারলে বধিরতার হার কমানো সম্ভব।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে সারা বিশ্বে ৩৬ কোটি (৩৬০ মিলিয়ন) মানুষ বিভিন্ন ধরনের বধিরতায় ভুগছেন। শতকরা হিসাবে এর সংখ্যা ৫ দশমিক ৩ ভাগ। যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এর মধ্যে কমপক্ষে অর্ধেক মানুষের বধিরতা প্রতিরোধযোগ্য।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নাক-কান-গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার বলেন, কর্ণ সেবাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের সহযোগিতায় বিএসএমএমইউ এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর যৌথভাবে বাংলাদেশে বধিরদের নিয়ে একটি গবেষনা পরিচালনা করা হয়। এ গবেষনায় উঠে এসেছে দেশের ৩৬ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে কানে কম শোনে। এদের মধ্যে ৯ শতাংশ মানুষ একদম বধির। যাদেরকে হেয়ারিং ইমপ্লান্ট প্রদান করা না হলে জীবন চালানো সম্ভব নয়। একই সঙ্গে ৭ শতাংশ মানুষ বয়সজনিত কারণে কানে কম শোনে। গবেষণায় উঠে এসেছে পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষের সবাই কিছু না কিছু কানে কম শোনে।

ডা. কামরুল হাসান তরফদার বলেন, কানে আঘাতের কারণে বধিরতা সৃষ্টি হয়। কানে কখনও চড় বা ঘুষি মারা উচিত নয়। একই সঙ্গে অযথা কোনো শক্ত কঠিন বস্তু দিয়ে কান খোচানো উচিত নয়। এতে করে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে অথবা কানে ইনফেকশন হতে পারে। সূত্র : যুগান্তর

এআরএস/আরআইপি