অভিজিৎ হত্যা : মামলার তদন্ত ডিবিতে
মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক ড. অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছ থেকে মামলাটির তদন্ত ভার ডিবিকে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি, রমনা) মো. আরাফাত।
গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় পরদিন শুক্রবার মামলা দায়ের করেন অভিজিৎ রায়ের বাবা ড. অজয় রায়। অজ্ঞাতসংখ্যক আসামি করে শুক্রবার সকালে শাহবাগ থানায় তিনি এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৫১।
মো. আরাফাত বলেন, ‘ডিবি পুলিশের হাতে অভিজিত হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও জখম হন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দু`জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টা ২০ মিনিটে অভিজিৎ মারা যান।
পুলিশ প্রশাসনসহ নিহতের পরিবারের দাবি উগ্রপন্থী ধর্মভিত্তিক সংগঠনের সদস্যরা এ খুন করতে পারে। ব্লকে লেখালেখির কারণে অভিজিৎকে টার্গেট করা হয়েছিল। অন্যদিকে ঘটনার দিন রাতেই অভিজিৎ হত্যায় দায় স্বীকার করে টুইট করেছে আনসারউল্লাহ বাংলা-৭ নামে একটি জঙ্গি সংগঠন।
টুইটারে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পোস্ট করা বার্তায় সংগঠনটি অভিজিৎ রায়কে হত্যার ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করে। আল কায়েদার মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ সংগঠনটি অভিজিৎ রায়কে ‘ইসলামের শত্রু’ বলে আখ্যা দেয়। সেখানে বলা হয়, ইসলামের বিরুদ্ধে অপরাধ করায় অভিজিৎ রায়কে গত ৩/৪ বছর ধরে ‘টার্গেটে’ রাখা হয়।
অভিজিৎ রায়কে হত্যার পর টুইটারে ‘হ্যাঁ, আমরা পেরেছি’ বলেও উল্লাস করে সংগঠনটি।
জেইউ/আরএস/আরআই