লাভজনক অবস্থানে বাংলাদেশ বিমান
লাভজনক অবস্থানে ফিরেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স। গত ৬ মাসে ২৭১.৪৪ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে বলে জানিয়েছেন বিমানের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) জামালউদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, আমরা আগামী ৫ মাস যদি এভাবে ধরে রাখতে পারি, চলতি অর্থ বছরের শেষ নাগাদ এয়ার লাইন্স একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ বিমান লোকসানের ধারায় গত জুলাই লোকসানের পরিমাণ ছিল ১০.৩৭ কোটি টাকা। এরপর থেকে বিমান লাভজনক অবস্থানে ফিরে। বিমানের সূত্র জানা যায়, বিমান আগস্টে ২০.৫১ কোটি, সেপ্টেম্বরে ১২৩.২৮ কোটি, অক্টোবরে ৮৬.৭৯ কোটি, নভেম্বর ২৩.১৪ কোটি, ডিসেম্বরে ১.৮১ কোটি এবং চলতি অর্থবছরে জানুয়ারিতে ২৬.২৮ কোটি টাকা লাভ করে।
বিমানের চেয়ারম্যান আরো বলেন, বিমান সকল দিক থেকে ইতিবাচক অবস্থানের দিকে এগোচ্ছে। গত পাঁচ বছরে পুরাতন ক্রাফট বহর থেকে সরিয়ে নেয়া, নতুন ক্রাফট সংগ্রহ, আধুনিকায়ন, ব্যয় সাশ্রয়ী ব্যবস্থা গ্রহণ এবং লোকসান হচ্ছে এ ধরনের রুটে বিমান পরিচালনা বন্ধ রাখার পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বিমান বর্তমান এই লাভজনক অবস্থায় পৌঁছেছে।
জামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালে বিমানে দায়িত্ব গ্রহণের পর লোকসান থেকে বিমানকে ফিরিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালান। জ্বালানি ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণের বিপুল ব্যয় কমাতে ৩৫ বছরের পুরনো এয়ার ক্রাফট ডিসি-১০-৩০ ও এফ-২৮ বহর থেকে অবসরে পাঠান।
তিনি বলেন, বিমানের সফটওয়্যারের অটোমেশন এবং ট্রেডিং সিস্টেমে আধুনিকায়ন বিমানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সহায়ক হয়েছে।
বিমান গত বছর জানুয়ারি ও মার্চে দু’টি নতুন এয়ার ক্রাফট ৭৭৭-৩০০ ইআরএস সংগ্রহের পাশাপাশি দু’টি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর ভাড়ায় সংগ্রহ করে। সম্প্রতি আভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য মিশরের একটি কোম্পানির সঙ্গে ৭৪ আসনের ডাস ৮ কিউ ৪০০ এয়ার ক্রাফট সংগ্রহে চুক্তি সম্পাদন করেছে।
আরএস/পিআর