ইতিহাস জানা দরকার : অমর্ত্য সেন
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন বলেছেন, অবিভক্ত বাংলার প্রতিটি অংশের ইতিহাস রচনা জরুরি। কারণ দেশের নানা অংশের ইতিহাস জানা দরকার। আমার ভিটাবাড়ি বিক্রমপুরে। মামাবাড়ি মানিকগঞ্জে। এভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবন ইতিহাস অনেকের ক্ষেত্রে রয়েছে, যা দিয়ে বড় ইতিহাস রচনা করা যায়।
মঙ্গলবার জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে মো. আজহারুল ইসলাম রচিত ‘মানিকগঞ্জের শত মানিক (২-খন্ড) এবং ‘বিক্রমপুর : ইতিহাস ও ব্যক্তিত্ব (৪ খন্ড) বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতিহাস রচনা খুব কঠিন বিষয়। নানা তথ্য উপাত্ত, মাল-মশলা এখানে নিখুঁতভাবে যোগ করতে হয়। একটি অঞ্চলের ইতিহাস রচনাও কষ্টসাধ্য। প্রতিটি অংশের ইতিহাস মিলেই প্রকৃত ইতিহাস রচিত হয়।
অমর্ত্য সেন বলেন, যে ধরনের ইতিহাস আজহারুল ইসলাম লিখেছেন, তার তথ্য প্রমাণাদি খুঁজে পাওয়া খুব কষ্টের। সেগুলোকে একত্র করে একটা সুষ্ঠু চিত্র তৈরি করা কঠিন কাজ। আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি, আজহারুল বহুদিন খেটে এই বই লিখেছেন। আঞ্চলিক ইতিহাসের অভাব পূরণ করতে তিনি যে কাজ করেছেন তার মূল্য অসাধারণ।
সভাপতির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, অমর্ত্য সেন সারা পৃথিবীতেই বরেণ্য ব্যক্তি। তিনি বিক্রমপুরের ছেলে, এটা আমাদের গর্বের।
আবুল মাল আব্দুল মুহিত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ, অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, মানিকগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি ড. মাহফুজা খানম, ড. মাহফুজুর রহমান, মীর মোতাহার হোসেন, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মদ ইউসুফ হারুন, রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আলী প্রমুখ।
আরএস/পিআর