ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

স্বাধীনতা দিবসে ঢাকায় আসতে পারেন মোদী

প্রকাশিত: ০৯:১৮ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে যোগ দিতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিত দুই দেশের স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমন আভাস পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের ঘোষণা দিতে তাঁর ঢাকায় আসার পরিকল্পনা আছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিক। এ কারণে ভারতের পার্লামেন্টে আগামী বাজেট অধিবেশনেই এই বিল (সংবিধান সংশোধন বিল) তোলার জন্য তোড়জোড় চলছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

অন্যদিকে এবারের বৈঠকে ভারতে থাকা বাংলাদেশি ৪৬ জন সন্ত্রাসী ও জঙ্গির তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ। আর ভারতের তরফ থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। এবারও বাংলাদেশের তরফ থেকে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য চাপ দিয়েছে ঢাকা। দিল্লি জানিয়েছে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে তারা বলেছে, হত্যাকাণ্ড যা ঘটছে, সেগুলো ঘটছে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায়। বাংলাদেশের মানুষ অবৈধভাবে সীমান্ত পার না হলে এই ঘটনা আরো কমানো যেত বলে তারা মন্তব্য করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন বলেন, `ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আনার জন্য আমরা বলেছি। তারাও আন্তরিক।`

বৈঠকে যোগ দেওয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের এক সদস্য জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসবেন এমন বিষয় বেশ কিছুদিন ধরে আলোচিত হচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়েও ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ভারতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের বাধা দূর করতে আগামী সংসদ অধিবেশনে যদি বিলটি পাস হয় তাহলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশে থাকবেন। আর যদি এবারের অধিবেশনে পাস না হয় তাহলে মোদির বাংলাদেশ সফর বিলম্বিত হতে পারে বলেও ভারতীয় কর্মকর্তারা ইঙ্গিত করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সীমান্ত বিল ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় তোলা হয়েছিল। বিজেপি তখন বিরোধী দলে ছিল। তারা বিলের কঠোর প্রতিবাদ জানায়। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং আসামের অসম গণপরিষদের নেতারাও বিলের বিরোধিতা করে হট্টগোল করেন। পরে ডেপুটি স্পিকার অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন। রাজ্যসভা থেকে বিলটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত পার্লামেন্টারি স্থায়ী কমিটির বিবেচনার জন্য। এরই মধ্যে কমিটি সীমান্ত বিল পর্যালোচনা করে অবিলম্বে তা পাস করানোর বিষয়ে সর্বসম্মত সুপারিশ করেছে। বিলটি আপাতত কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন। আইন মন্ত্রণালয়ের অভিমত জানার পরই বিলটি চূড়ান্ত করা হবে।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দিল্লিতে দুই দেশের স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান। বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিব এল সি গয়াল। এর আগের দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হয়। তাতে এ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন।

এবারের বৈঠকেও উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াসহ বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি ভারতীয়দের ফিরিয়ে দেওয়া এবং নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ ভারতের কারাগারে বন্দি বাংলাদেশিদের কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়। ভারতীয় ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অনেক সময় বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় বাংলাদেশিদের। বিড়ম্বনা কমাতে কী কী উদ্যোগ নেওয়া যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়। এ ছাড়া কাঁটাতারের বেড়া, মাদকসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এসআরজে