দুই ডিসিসি নির্বাচনে আর বাধা নেই
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করে গেজেট প্রকাশ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ফলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের (উত্তর-দক্ষিণ) নির্বাচন সংক্রান্ত আইনী বাধা দূর হল।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করতে মন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য নথি পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী সীমানা বিরোধ না থাকলে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন করার দিকেই যেতে হবে। বিরোধ নিষ্পত্তি হয়েছে-এই কথা ইসিকে জানিয়ে দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুধু বাকী রয়েছে।
সোমবারের মন্ত্রিসভা বৈঠক এবং এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত ডিসিসি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে তাগিদ দেন। এরপরই সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, নির্বাচনের জন্য কমিশনের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শেই কমিশন টাকা চেয়ে চিঠি দিয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে কমিশনের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনী ম্যানুয়ালের সংশোধনীর কাজ শেষ পর্যায়ে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিপত্র বিধি ও আইনের আলোকে সংশোধন করা হচ্ছে। গত ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকার দুই সিটি এলাকার ভোটার তালিকা মুদ্রণের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত করা হবে। বিভিন্ন উপ-নির্বাচনের জন্য যেসব নির্বাচনী সরঞ্জাম রয়েছে সেগুলো ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ব্যবহার করা যাবে।
তিনটি বিকল্প সময় আলোচনায় :নির্বাচন আয়োজনের জন্য তিনটি সময়কে উপযুক্ত মনে করছেন কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভোটার এলাকা অক্ষুণ্ন রেখে সীমানা নিষ্পত্তি সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই মার্চের শেষে অথবা এপ্রিলের প্রথমে নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। কারণ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। তাছাড়াও চলমান এসএসসি পরীক্ষাও মার্চের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। এসএসসি ও এইচএসসির মধ্যবর্তী সময়ে নির্বাচন করা যেতে পারে। এছাড়া আগামী রমজানের আগে বিশেষ করে মধ্য জুন নাগাদ মধ্যে এই নির্বাচন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে এপ্রিলের শুরুতেই তফসিল ঘোষণা করে মে মাসের শেষভাগে অথবা জুনের প্রথমে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন হতে পারে।
এআরএস/আরআইপি