ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

নিশা-তারানকো বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

প্রকাশিত: ০৯:৫৩ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দিশাই বিসওয়াল ও জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর মধ্যে বাংলাদেশের চলমান সঙ্কট নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের চলমান সঙ্কট নিরসনে বুধবার বিকেলে ওয়াশিংটনে তারা বৈঠক করেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অস্কার ফারনান্দেজ তারানকো ও নিশা দেশাইয়ের এ বৈঠকে বাংলাদেশ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বাংলাদেশে সহিংসতার তীব্রতা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি সহিংস পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রতি জোর দেওয়া হয়।
 
এ প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ডোজাররিক বলেন, বাংলাদেশের সংকট নিরসনে মহাসচিব জাতিসংঘের পিস বিল্ডিং অফিসের প্রধান কর্মকর্তা অস্কার ফারনান্দেজ তারানকোকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি বিরোধী দল ও সরকারি দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে উদ্ভুত সঙ্কট নিরসনে কাজ করবেন। তিনি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশের প্রাণহানি কমিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। করনীয় নির্ধারণে সার্বিকভাবে কাজ করছে সংস্থাটি।

নিসা দেশাই ও তারানকো বৈঠকের সুনির্দিষ্ট ফলাফল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে জাতিসঙ্ঘের এ মূখপাত্র বলেন, এটি  একটি অব্যাহত প্রক্রিয়া। মহাসচিব বান কি মুনের দেয়া দায়িত্ব অনুসারে আলোচনা চলছে।
 
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণারোপ এবং খাবার প্রবেশে বাধা প্রদান প্রসঙ্গে স্টিফেন ডোজাররিক বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব এসব পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং তিনি চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। এ  সঙ্কট নিরসনে জাতিসংঘের সহকারি মহাসচিব অস্কার ফারনান্দেজ মহাসচিবের খুব কাছ থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
 
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফারনান্দেজ তারানকো গত বছর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতা করতে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। বর্তমান উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দ্বিতীয়বারের মতো তিনি বাংলাদেশের সঙ্কট নিরসনে মহাসচিবের নির্দেশে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে শিগগিরই তার বাংলাদেশ সফরের কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সূত্র।

এএইচ/পিআর