ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আজিজকে বিক্রি করতে চেয়েছিল অপহরণকারীরা

প্রকাশিত: ০৮:৪৯ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

মুক্তিপনের টাকা আদায়ে পাঁচ দিন সময় দিয়েছিল অপহরণকারীরা। নইলে অপহৃত শিশু আ. আজিজ রানাকে (৩) বিক্রি করে দেবে তারা। কিন্তু র‌্যাবের তৎপরতায় শিশু রানাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে র‌্যাব-১০ সদস্যরা শিশু আজিজ রানাকে উদ্ধার করে। ২৮ জানুয়ারি শিশু রানা বাসা থেকে অপহরণের শিকার হয়।

পুরান ঢাকায় র‌্যাব-১০ লালবাগ ক্যাম্পে বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিসি-৩ কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. সোহেল হাসান এ তথ্য জানান।

এ ঘটনায় চারজনকে আটক করে র‌্যাব। আটককৃতরা হলেন- রিপা আক্তার (৩০), রওশন জাহান (৩৪), মনির হোসেন (৩৮) ও মো. আ. কালাম (৪০)।

লালবাগ সিপিসি-৩ কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. সোহেল হাসান বলেন, জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে আটককৃত মো. আ. কালাম ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে তার বন্ধু মো. আব্দুল আলমের সঙ্গে দেখা করার জন্য কক্সবাজারের উখিয়া’তে যান।

অপহরণের পর মুক্তিপনের জন্য ৫ লাখ টাকা রানার বাবার কাছে কালাম দাবি করেন। কালাম হুমকি দেয় পাঁচ দিনের মধ্যে মুক্তিপনের টাকা না দিলে শিশুটিকে বিক্রি করে সে ভারতে পালিয়ে যাবে।

মেজর সোহেল বলেন, এ ঘটনায় ৩১ জানুয়ারি আব্দুল আলম বাদী হয়ে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় একটি জিডি (জিডি নং-১৩০৩) করেন।

পরে ৮ ফেব্রুয়ারি ছেলেকে উদ্ধারের জন্য র‌্যাব-১০ এর কাছেও লিখিত আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১০ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে কামরাঙ্গীরচর থেকে অপহরণকারী কালামকে গ্রেফতার করে।

আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাব জানতে পারে পূর্ব রসুলপুরের ৯ নম্বর গলির ৩৯ নম্বর বাসায় রানাকে আটকে রাখা হয়েছে।

তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই স্থান থেকে অপহৃত শিশু মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ রানাকে গত রাত ১১ টার দিকে উদ্ধার করা হয়।

এ সময় অন্য অপহরণকারী রিপা আক্তারকেও (৩০) গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও এ ঘটনার সহযোগী রওশন জাহান (৩৪) ও তার স্বামী মনির হোসেনকেও (৩৮) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

এ ঘটনায় কামরাঙ্গীরচর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধীত ২০০৩) এর ৮ ধারায় মামলা করেছেন শিশু রানার বাবা।

জেইউ/এআরএস/আরআইপি