জুবায়ের হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলার রায়ে পাঁচজনকে ফাঁসি ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রোববার দুপুর ১টার দিকে ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিতরা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী।
গত বুধবার ৪ ফেব্রুয়ারি এ রায় ঘোষণার তারিখ ছিল। কিন্তু আসামি আদালতে উপস্থিত না থাকায় রায় ঘোষণা করেননি আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মোহাম্মদ রইছ, জাহিদ হাসান, রাশেদুল ইসলাম রাজু, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহবুব আকরাম।
যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে দর্শন বিভাগের ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ ও কামরুজ্জামান সোহাগ, ইতিহাস বিভাগের মাজহারুল ইসলাম ও পরিসংখ্যান বিভাগের শফিউল আলম সেতু ও অভিনন্দন কুণ্ড ওরফে অভি ও অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের নাজমুস সাকিব তপু। আর খালাস পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র নাজমুল হাসান প্লাবন ও ইতিহাসের মাহমুদুল হাসান।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগের কর্মী জুবায়েরকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতেই তাঁকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ জানুয়ারি ভোরে মারা যান জুবায়ের। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার হামিদুর রহমান আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
২০১২ সালের ৮ এপ্রিল ১৩ ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মীর শাহীন শাহ পারভেজ। তাঁরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র শফিউল আলম সেতু ও অভিনন্দন কুন্ডু অভি, লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র নাজমুল হাসান প্লাবন, দর্শন বিভাগের কামরুজ্জামান সোহাগ, ইতিহাস বিভাগের মাজহারুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের নাজমুস সাকিব তপু, প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মোহাম্মদ রিয়াজ ও জাহিদ হাসান, দর্শন বিভাগের ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ, রাশেদুল ইসলাম রাজু এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহবুব আকরাম। এর মধ্যে আশিক, রিয়াজ, আকরাম ও অরূপ শুনানি চলাকালে কাঠগড়া থেকে পালিয়ে যান।
# জুবায়ের হত্যার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ
এএইচ/বিএ/আরআইপি