ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পার্বত্য ভূমি কমিশন চেয়ারম্যানের ক্ষমতা কমিয়ে বিল পাস

প্রকাশিত: ১১:৩৬ এএম, ০৬ অক্টোবর ২০১৬

পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের কোরাম ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনে সংশোধনী এনে জাতীয় সংসদে একটি বিল পাস হয়েছে। এর ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তিতে কমিশনের চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা কমলো। এর আগে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই কমিশনের সিদ্ধান্ত বলে গণ্য হত।

বৃহস্পতিবার ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বিল (সংশোধন)-২০১৬’ নামে বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ।
 
এদিকে, বিলটি পাসের ফলে চেয়ারম্যানসহ উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সিদ্ধান্ত কমিশনের সিদ্ধান্ত বলে গণ্য হবে। চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে আর কোনো বিষয় চূড়ান্ত হবে না। আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের ৯ সদস্যের মধ্যে চেয়ারম্যানসহ দুইজন উপস্থিত থাকলেই এতদিন কোরাম হত। এখন তিন সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হবে।

আইনে বলা হয়েছে, কমিশনের সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী পদে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-জাতীয়দের অগ্রাধিকার প্রদানক্রমে স্থায়ী অধিবাসীদেরকে নিয়োগ করা হবে।

বিলে আরো বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি বহির্ভূতভাবে জলে ভাসা ভূমিসহ কোনো ভূমি বন্দোবস্ত প্রদান বা বেদখল করা হয়ে থাকলে তা বাতিলকরণ এবং বন্দোবস্তজনিত বা বেদখলজনিত কারণে কোনো বৈধ মালিক ভূমি হতে বেদখল হয়ে থাকলে তার দখল পুনর্বহাল: তবে শর্ত থাকে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি অনুযায়ী অধিগ্রহণ করা ভূমি এবং বসতবাড়িসহ জলে ভাসা ভূমি, টিলা ও পাহাড় ব্যতীত কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা ও বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ এলাকার ক্ষেত্রে এই উপধারা প্রযোজ্য হবে না।

গত ১ অগাস্ট বিলটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়। সংসদ অধিবেশন না থাকায় সেটি অধ্যাদেশ আকারে জারির সিদ্ধান্ত নেয় সংসদ।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান পার্বত্য শান্তি চুক্তির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ‘ওই চুক্তির আলোকে ২০০১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন প্রণয়ন করা হয়। আইন প্রণীত হওয়ার পর হতে কমিশন তার নিয়মিত বৈঠক আহ্বান করলে কমিশনের উপ-জাতীয় সদস্যগণ এ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উল্লেখ করে কমিশনের বৈঠকে অব্যাহতভাবে অনুপস্থিত থাকেন। সেই অচলাবস্থা দূর করার জন্য আইনটির সংশোধনের প্রয়োজনীয় দেখা দেয়।’
 
এইচএস/আরএস/এবিএস

আরও পড়ুন