বাঘসহ অন্য বন্যপ্রাণী রক্ষায় সরকারের জিরো টলারেন্স
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, সুন্দরবনের বাঘ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী রক্ষায় বনবিভাগ, কোস্টগার্ড ও সার্বক্ষণিক র্যাবের টহলের মাধ্যমে সরকার ইতোমধ্যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বাঘ ও অন্যান্য বন্যপাণী রক্ষার্থে সভা, সেমিনারসহ বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪০ এর জাসদ দলীয় সংসদ সদস্য লুৎফা তাহেরের কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে আনা জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ মনোযোগ আকর্ষণী একটি নোটিশের জবাবে দেয়া সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে মন্ত্রী একথা জানান।
নোটিশের জবাবে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, সুন্দরবনে বর্তমানে তিনটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রয়েছে। যার আয়তন প্রায় ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৯৯ হেক্টর। চলতি বছরে এই তিনটি অভয়ারণ্যের আয়তন বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার ২৩০ হেক্টর করার প্রস্তাব সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন। যা সুন্দরবনের মোট আয়তনের প্রায় ৬৪ শতাংশ। সুন্দরবনে সব এলাকাতেই কম-বেশি বাঘের বিচরণ পরিলক্ষিত হয় এবং সুন্দরবনে বাঘের প্রজনন এখনও স্বাভাবিক রয়েছে। সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১০৬টি।
লুৎফা তাহের তার নোটিশে বলেন, নানা কারণে সুন্দরবনের বাঘের আবাসস্থল, জীবনাচরণ ও প্রজনন প্রক্রিয়া চরম নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রধান প্রাণী রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পানি ও মাটিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণেও বাঘের বাসযোগ্য পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। উপরন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ- আইলা, সিডর, সাইক্লোনের কারণেও বাঘের অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে।
লুৎফা তাহেরের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, বন্যপাণী ও গাছপালা রক্ষার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশ বর্তমানে বিরাট সংকটে পতিত। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকার নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে। এরসঙ্গে বিদেশি কয়েকটি সাহায্যদাতা সংস্থাও সম্পৃক্ত রয়েছে।
এইচএস/জেএইচ/এবিএস