পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ও নার্সিং কাউন্সিল আইন সংসদে উত্থাপিত
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি আইন ও বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশগুলো বাতিল হয়ে গেলে উক্ত আইন দুটিও রহিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে রহিত অধ্যাদেশ বলে গঠিত ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহের আইনি শূন্যতা সমাধান কল্পে ২০১৩ সালে বাতিল আইনসমূহের কার্যকারিতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অধ্যাদেশ কার্যকারণ বিশেষ বিধান জারি করা হয়।
বুধবার জাতীয় সংসদের বৈঠকের আগের অধ্যাদেশ রহিতক্রমে আইন দুটি পুনঃপ্রণয়নের উদ্দেশ্যে উত্থাপিত হয়। বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ রহিতক্রমে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন ২০১৬ বিলটি উত্থাপন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
বাংলাদেশ একাডেমি ফর রুরাল ডেপেলপমেন্ট অর্ডিন্যান্স ১৯৮৬ রহিতক্রমে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি আইন ২০১৬ বিলটি উত্থাপন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। পরে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিল দুটি সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কৃষির আধুনিকীকরণসহ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনেক মডেল সৃষ্টি করেছে। দেশে-বিদেশে অধিকতর সমাদৃত হয়েছে। জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর আইনি কাঠামো আরো শক্তিশালীকরণ প্রয়োজন। এজন্য আইনের খসড়া বিলটি গত এপ্রিল মাসের মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩ দীর্ঘদিন আগে প্রণীত বিধায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে কতিপয় সংশোধনীও প্রয়োজন। তাই প্রস্তাবিত আইনের শিরোনামে নার্সিং এর পাশাপাশি মিডওয়াইফারি সংযোজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন-২০১৬ বিলটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে।
বিল দুটিতে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা জড়িত থাকায় সংবিধানের ৮২ অনুচ্ছেদ মোতাবেক রাষ্ট্রপতির সুপারিশ পাওয়া গেছে।
এইচএস/জেএইচ/এবিএস