দেশে এইচআইভি আক্রান্ত ৪১৪৩ জন
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দেশে বর্তমানে ৪ হাজার ১৪৩ জন এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছেন। এরমধ্যে এ পর্যন্ত ৬৫৮ জন মারা গেছেন।
জাতীয় সংসদে বুধবার প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
তিনি জানান, সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে চিকিৎসা সেবা ও এইচআইভি শনাক্তকরণ কার্যক্রম সরকারি ১২টি হাসপাতালের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যার মধ্যে ৪টি সরকারি হাসপাতাল থেকে এইডস আক্রান্ত রোগীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।
নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি (গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস) গাইডলাইন যথাযথভাবে পালন না করায় এবং নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের দায়ে গত পাঁচ বছরে ৩৪টি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ উৎপাদনকারী কারখানার লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানার লাইসেন্স বাতিলসহ ২০টি প্রতিষ্ঠানের সব ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। ১৪টি প্রতিষ্ঠানের সব প্রকার এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে।
মোহাম্মদ নাসিম জানান, চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে মান-বহির্ভূত ওষুধ উৎপাদনের কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ৪৪টি পদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল এবং ২৬ পদের রেজিস্ট্রেশন সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বা পদ বাতিল বা সাময়িক বাতিল করা হলে তা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানার সংখ্যা ৮৫৩টি। এর মধ্যে অ্যালোপ্যাথিক কারখানা ২৬৬, ইউনানী ২৬৭, হোমিওপ্যাথিক ৭৯ এবং হার্বাল ৩২টি রয়েছে।
এইচএস/জেএইচ/এবিএস