ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

এসএসসি পরীক্ষার নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ : আইজিপি

প্রকাশিত: ০৮:১৫ এএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৫

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে পুলিশ। প্রতিটি কেন্দ্র এবং শিক্ষার্থীদের চলাচলে রাস্তায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।

শনিবার রাজধানীর পুলিশ সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাধারণ জনগণসহ সব রাজনীতিবিদদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

হরতাল-অবরোধের মধ্যে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

চলমান অবরোধের মধ্যেও রোববার সকাল ছয়টা থেকে বুধবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত সারা দেশে ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।

সোমবার থেকে শুরু হওয়ার কথা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। জোটের এই কর্মসূচির কারণে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানো হবে কি না, সে বিষয়ে শুক্রবার রাত পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা নিয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা উৎকণ্ঠায় আছেন।

সম্মেলনে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দলগতভাবে নিরাপত্তা দেবে পুলিশ। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে নিরাপত্তা দিতে পারবে না। শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, সবার প্রত্যাশা ছিল এসএসসি পরীক্ষার কারণে কর্মসূচি শিথিল রাখা হবে বা আওতামুক্ত রাখা হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, তারা অবরোধের পাশাপাশি হরতালও দিলো।

এসএসসি পরীক্ষার সময়ও ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রাখা প্রসঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, পিতা হিসেবে, নাগরিক হিসেবে আমি স্তম্ভিত। জাতি স্তম্ভিত।

সরকার পরীক্ষা নিলে পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা দেবে বলে জানান তিনি। এ জন্য সাধারণ নাগরিকদের কাছে তিনি সহযোগিতা চান।

২০ দলীয় জোটের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, আমি সাধারণ নাগরিক হিসেবে, পিতা হিসেবে অনুরোধ করবো, যাতে এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

এ কে এম শহীদুল হক আরও বলেন, অবরোধের নামে চোরাগোপ্তা হামলা চালানো হচ্ছে। নাশকতা করা হচ্ছে। পেট্রলবোমা মারা হচ্ছে। এদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এ কে এম শহীদুল হক বলেন, যা হচ্ছে তা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও জিরো টলারেন্স নীতি দেখানো হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আইনের ক্ষমতা বলেই ৫ জানুয়ারি সমাবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। ওইদিন যেভাবে আওয়ামী লীগ ও ২০ দলীয় জোট পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়েছিল তাতে সাধারণ জনগনের জানমালের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা ছিল। তাই উভয় জোটকেই কর্মসূচি থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। এখন আইন মেনে ২০ দলীয় জোট আবেদন করলে তারা সমাবেশ করতে পারবে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদন্ত করছেন। তদন্তে দোষী প্রমানিত হলে যে কেউ গ্রেফতার হতে পারেন। সেক্ষেত্রে ওই তদন্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, পুলিশ বিখ্যাত শিবির ক্যাডার শামসুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে, প্রাক্তন কমিশনার মুক্তাকে ওয়ারী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে নাশকতার কাজে অর্থ যোগানদাতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। অভিযান চলছে আরও গ্রেফতার হবে। যারা নাশকতা চালাচ্ছে তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমানসহ পুলিশ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেইউ/বিএ/এমএস