নাশকতা দমান, দায় আমার : পুলিশকে প্রধানমন্ত্রী
দেশে চলমান নাশকতা যে কোনো উপায়ে দমন করতে পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এখানে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নাই, কোনো চিন্তা নাই। যা কিছু হোক সে দায়িত্ব আমি নেব।
বুধবার নিজ কার্যালয়ে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। এসময় পুলিশ সদর দপ্তর, মেট্রোপলিটন, বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা আপনাদের দিতেই হবে। আর সেটা দেওয়ার জন্য যত কঠিন কাজ হোক সেটা আপনারা নির্দ্বিধায় করে যাবেন; অন্তত এইটুকু লিবার্টি আমি আপনাদের দিচ্ছি। হরতাল-অবরোধে পেট্রোল বোমা হামলায় মানুষ হত্যার চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড। এই সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড দমনের জন্য যখন যেখানে যা করা প্রয়োজন আপনারা তাই করবেন। কারন মানুষ সেটা আশা করে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। তারা আশা করে কঠোর হস্তে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হবে। এর আগে নিজেদের সমস্যার কথা জানান পুলিশ কর্মকর্তারা। পাশাপাশি নিজেদের পদমর্যাদা ও বেতন-ভাতা বাড়ানোর দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। ঢাকা মহানগরের আরো কমপক্ষে তিনটি পুলিশ লাইন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা এবং মাঠপর্যায়ের অপরাধ মোকাবেলায় পুলিশে জনবল বাড়ানো কথাও বলেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গত বছর ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে নাশকতা দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে সন্ত্রাস ও নাশকতা মোকাবিলায় পুলিশের সঙ্গে জনগণকেও সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ, সচেতন নাগরিক যারা, নির্বাচিত প্রতিনিধি যারা রয়েছেন এবং র্যাব, আনসার-ভিডিপি, বিজিবি সকলকে সম্পৃক্ত করে এই সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করতে হবে এবং যে কোনো উপায়ে দমন করতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, কত মায়ের কোল যে খালি হচ্ছে। আমি জানি না বিএনপি নেত্রী তিনি তার সন্তান হারিয়েছেন। তার নিজের ব্যাথা তিনি বোঝেন। কিন্তু যাদেরকে পুড়িয়ে মারছেন; সেই সন্তানের পোড়া শরীর দেখে বা পোড়া লাশ দেখে সেই মায়ের মনে যে কি কষ্ট সেই কষ্টটা কি খালেদা জিয়া বুঝতে পারছেন? আমার একটা প্রশ্ন থাকল এখানে।
-এএইচ/পিআর