ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

রিশার হত্যাকারীকে গ্রেফতারে ১১ মানবাধিকার সংগঠনের আল্টিমেটাম

প্রকাশিত: ০২:৩৮ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৬

বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে তাদের মধ্যে অন্যতম ১১টি সংগঠন যৌথভাবে এক বিবৃতিতে বলেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যাকারী ওবায়দুলকে গ্রেফতার করা না হলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আগামী ৩১ আগস্ট মানববন্ধন কর্মসূচিসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।

সংগঠনের নেতারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না। রিশার মা গণমাধ্যমকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছেন, ‘আমার বাচ্চার রক্ত পড়তে ছিল, কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালসহ কেউ এগিয়ে আসেননি। সহপাঠীরা কোলে করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। পেটের ভিতর থেকে নাড়ি বের হয়ে গিয়েছিল। এই সময় তিনি স্কুল কম্পাউন্ডে থাকা গাড়ি দেখিয়ে বলেন, ওই যে কতগুলো গাড়ি, কিন্তু আমার বাচ্চাকে হাসপাতালে নিতে কোন গাড়ি এগিয়ে আসেনি। যদি তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নেয়া যেত আমার বাচ্চা বেঁচে যেত।’

এই ঘটনা প্রমাণ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ কতটা নির্বাক ও উদাসীন। অথচ প্রত্যেক অভিভাবক তাদের সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে থাকে। এই ঘটনা অভিভাবকদের ভিতর নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

মানবাধিকার সংগঠনের নেতারা বলেন, শিক্ষামন্ত্রী তাদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে এসেছেন কিন্তু এখনো ঘাতক গ্রেফতার হয়নি। আমরা কথার ফুলঝুড়ি শুনতে চাই না। অবিলম্বে ঘাতককে গ্রেফতার করে তার ফাঁসির দাবি করছি।

বিবৃতিদাতা ১১ সংগঠন : বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির উপদেষ্টা আহসান হাবিব লিংকন, চেয়ারম্যান ওসমান গণি, মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, এশিয়া হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন, মহাসচিব আর কে রিপন, মানবাধিকার জোটের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিঠু, মহাসচিব মিলন মল্লিক, তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটন, জাতীয় মানবাধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান ড. রফিকুল ইসলাম, মহাসচিব অধ্যাপক আ স ম মোস্তফা কামাল, আলোর মিছিল’র সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, জাতীয় মানবাধিকার জোটের চেয়ারম্যান শামসুল আলম, মহাসচিব মো. মুসা।

এমইউএইচ/জেএইচ/এবিএস