জেলা পরিষদ আইন সংশোধন খসড়ায় অনুমোদন
জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন-২০১৬ খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এখন আইনটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করে কার্যকর করা হবে। পরে সংসদ অধিবেশন শুরু হলে তা আইন আকারে পাস হবে।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, এটি ২০০৮ সালের আইন। নতুন আইনে অল্প কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন আইনে পরিচিত বা শপথের সময় পিতা ও স্বামীর নামের সঙ্গে মাতার নাম অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ধারা ১০’র ক ধারা অনুযায়ী ফৌজধারি মামলায় কেউ গ্রেফতার কিংবা চার্জশিটভুক্ত হন, তাহলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিধান রাখা হয়েছে।
১৭ ধারায় বলায় হয়েছে, প্রত্যেক জেলায় সিটি কর্পোরেশন যদি থাকে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিল, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিল, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচনমণ্ডলীর সদস্য হবেন।
সচিব জানান, সকল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির (চার স্তরের) ভোটে ২১ সদস্যের জেলা পরিষদ পর্ষদ গঠন করা হবে। এরা হলো- ১ একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সাধারণ সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হবেন।
ধারা ২০ এর উপধারায় বলা হয়েছে, কেউ নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, কিংবা ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ৩১ ধারার উপধারা ২ এ বলা হয়েছে, কোনো ইউপি চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে কোনো মনোনীত সদস্য কিংবা সরকার মনোনীত যেকোন কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা, ২০১৫-২০৩৫’র খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজকের বৈঠকের শুরুতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী আ ফম মহিতুল ইসলাম ও কবি শহীদ কাদরী স্মরণে শোক প্রস্তাব পাস করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এমইউএইচ/এনএফ/এমএস