র্যাব সদস্যসহ ৫ জন গণধোলাই`র শিকার
ফতুল্লার কাশিপুর দেওয়ান বাড়ি এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ রোডে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাদা পোশাকধারী এক র্যাব সদস্য জনতার হাতে গণধোলাই এর শিকার হয়েছেন। শনিবার দুপুরে বাসে আগুন দেয়ার পর তিন শিবির কর্মীসহ এক যুবককে গণধোলাই দেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শিবির কর্মীসহ এক যুবককে গণধোলাই দেওয়ার সময় তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করলে সাদা পোশাকধারী এক র্যাব সদস্যও গণধোলাই এর শিকার হয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। তবে ওই র্যাব সদস্যের পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। এসময় চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলো- সিহাব, মাহমুদ, আবু সাঈদ ও মাসুদ রানা। তাদের প্রত্যেককে শহরের খানপুর ৩শ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মোসলেম আলী শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সময় জনতা ধাওয়া করে তিনজনকে গণধোলাই দেয়ার সময় সাদা পোশাকে এক র্যাব সদস্য তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। এসময় তাকেও গণধোলাই দেয়া হয়। পরে সংবাদ পেয়ে র্যাব সদস্যসহ চারজনকে উদ্ধার করে তিনজনকে হাসপাতালে পাঠাই। আর র্যাব সদস্য তেমন গুরুতর আহত না হওয়ায় তার পরিচয়পত্র দেখে ছেড়ে দেই। তবে তার নাম ঠিকানা লিখিনি। এর কিছুক্ষণ পর মাসুদ রানা নামে এক যুবক এসে শিবিরের পক্ষ নিয়ে কথা বলায় জনতা তাকেও গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে।
আগুনে পুড়িয়ে দেয়া মুন্সিগঞ্জ দিঘীরপাড় ট্রান্সপোর্ট (ঢাকা-জ- ১৪-০২৭৬) এর বাস মালিক মুনসুর আলী জানান, আমাদের কয়েকটি বাস এর আগে পুড়িয়ে দেয়ায় আমরা গাড়ী নিয়ে বের হতে চাইনি। কিন্তু আজ মালিক সমিতির নির্দেশে নিজে গাড়িতে থেকে যাত্রী বহন করছি। এটিই প্রথম টিপ নিয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে ১৫-২০জনের একদল যুবক ইটপাটকেল ছুড়ে গাড়ির গতিরোধ করে পেট্রোল তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় গাড়িতে থাকা প্রায় ৫০জন যাত্রীর মধ্যে অন্তত ১০জন আহত হয়।
পরে ওই যুবকরা আমার গাড়ির সামনে এবং পিছনের অন্তত ৭-৮টি গাড়ি ভাংচুর করে। এসময় জনতা ধাওয়া করে তাদের মধ্যে থেকে প্রথমে তিনজনকে আটক করে। পরে আরো একজনকে আটক করে পুলিশে দেয়।
আরএস